সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি

ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাল বাংলাদেশের বাতিঘর হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা পৌঁছে দেয়ার ১ যুগ উদযাপন করছে এটুআই। একই সঙ্গে সকল জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

ডিজিটাল সেন্টারের এই দীর্ঘ পথচলার যুগপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (১১ নভেম্বর) এটুআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল এবং ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। সঞ্চালনা করেন এটুআই’র হেড অব ডিজিটাল সেন্টার ও ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস তহুরুল হাসান।  

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টারের এই মডেল প্রতিষ্ঠা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের স্মার্ট উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা হবে। এজন্য সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন ও অফলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের ৮৭ হাজার গ্রামে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে, যাতে প্রতি ৫ কিলোমিটারের পরিবর্তে প্রতি ২ কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের হাতের নাগালে সকল সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ইউনিক সেবাগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশীপের ব্যবস্থা করা হবে।

. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, নাগরিকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টার একটি সফল রোল মডেল হিসেবে বৈশ্বিকভাবেভাবে স্বীকৃত। দেশব্যাপী ৮,৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টারে পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তা সমন্বিতভাবে বিগত ১ যুগ ধরে সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা সহজে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৭০ লাখেরও অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অগ্রগন্য, কারণ তাদের হাত ধরেই ডিজিটাল সেবাগুলো প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *