সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করা হচ্ছে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

ক.বি.ডেস্ক: ভূমির জরিপ ও সীমানা নিয়ে জটিলতায় আমাদের দেশে আহরহ সংঘর্ষ-মারামারি ও মামলা হচ্ছে। ভূমি জরিপের অস্বচ্ছতার কারণে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হতো, যা এখনো চলছে। চিরতরে এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করা হচ্ছে। ডিজিটাল জরিপে একেবারে খুঁটিনাটি, মিলিমিটার পর্যন্ত মাপজোখ করা হবে।

গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ এলাকায় খেলার মাঠে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ’ কার্যক্রমে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আয়োজনে উপিস্থত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তপরের মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান।

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “এটি ডিজিটালিভাবে সংরক্ষণ করা হবে। আগামী ৫০ বছর এটি সংরক্ষণ থাকবে, প্রয়োজনে তা আরও বেশি সময় রাখা যাবে। তখন জরিপের বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে। জরিপ নিয়ে সমাজের যে অস্থিরতা, যে অস্বচ্ছতা, সেটা আর থাকবে না। ‘ডিজিটাল ভূমি জরিপ হলে ভূমির মালিকেরা অনলাইনে ঘরে বসে জমির পরচা, খতিয়ান পাবেন। ঠিক একইভাবে খাজনাও ঠিক ততটুকুই দিতে হবে। এর বেশি দেয়া লাগবে না। কোনো অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “ভূমি অফিসগুলোতে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম রয়েছে, এই সমস্যা দূর করতে সরকার কল সেন্টার সেবাও চালু করতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি অভিযোগ দিলে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা অভিযোগ পাচ্ছি, ১০০ টাকার খাজনা দিতে গেলে তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে। সেটা আর থাকবে না। ডিজিটাল জরিপের ফলে মামলার সংখ্যা কমে যাবে, ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও হ্রাস পাবে। সমাজে ও গ্রামে জমি নিয়ে যে অস্থিরতা, তা চিরতরে দূর হবে। জমিসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাও কমে যাবে।”

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ বছরের জুলাই থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৩ কোটি টাকা। এ সার্ভে শেষ হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *