ডিএনসিসি’র স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম
ক.বি.ডেস্ক: স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম আনছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কবরস্থান ব্যবস্থাপনা হবে অ্যাপের মাধ্যমে। এতে কবরস্থানে দাফনদের তথ্য থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদও সংগ্রহ করা যাবে। ডিএনসিসি’র ৬টি কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।
পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় কবর দেয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের ওপর নতুন কবর দেয়া হবে তার সকল তথ্যই পাওয়া যাবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে। কবরস্থানে বড় বড় স্ক্রিন থাকবে, সেখানে দেখতে পারবেন কবরের তথ্য।
ডিএনসিসি’র ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেন নাগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) গুলশান ২ ডিএনসিসি নগর ভবনে আয়োজিত স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম এর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা। আজকে যদি ডাটা থাকে তাহলে আমরা অনেক বছর পরও তথ্য জানতে পারবো। কবরস্থানের সব ব্যবস্থাপনা হাতের মুঠোয় থাকবে। কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিল। একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানবে না। তবে এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা অনেক বছরও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল, এটা নিয়ে আর কেউ দিশেহারা হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডাটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।
তিনি আরও বলেন, আগে সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে কবরের কোনো কোড নম্বর ছিল না। স্বজনকে কবর দিলে কয়েক বছর পর তা খুঁজে পাওয়া যেত না। কারণ নির্দিষ্ট সময় পরপর এক কবরের ওপর আরেক কবর দেয়া হয়। এ জন্য ডিএনসিসি স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নামে একটি অ্যাপ চালু করেছি। এর মাধ্যমে সব কবরের ডাটাবেজ থাকবে। কোন কবরের ওপর কাকে কবর দেয়া হয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে তালিকা থাকবে। যাতে একযুগ পর হলেও স্বজনরা কবর খুঁজে পান’।
সিটি করপোরেশনের বনানীসহ সব কবরস্থানে ৫০০ টাকায় দাফন করা যাবে এবং সব কবরস্থান নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত। বনানী কবরস্থানেও নিম্নআয়ের মানুষকে দাফন করা যাবে। কেউ নির্ধারিত ৫০০ টাকা দিতে না পারলে ফ্রিতে দাফন করতে পারবেন।
কবরস্থান ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসায় ঘরে বসেই কবরস্থানের দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে কবরস্থান ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হবে। এর মাধ্যমে কবরস্থানে দাফনদের তথ্যভান্ডার তৈরি হচ্ছে। কবরস্থান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি সফটওয়্যারে পাওয়া যাবে।