ডিআইইউ’তে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস’ উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিতে (ডিআইইউ) অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী ‘‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস-২০২১’’ উদযাপন। বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাস ‘আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা মাস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকি’। ডিআইইউ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা, পণ্য পদর্শনী এবং ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে শতাধিক দল অংশ নিচ্ছে। দিনব্যাপী এসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে বেসিস, আইএসএএস এবং সফটহাব বিডি। আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) ডিআইইউ’র সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার আশুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ডিআইইউর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডিআইইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। এ সময় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডিআইইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসাকা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান শেখ মোহাম্মদ আলস্নায়ের, সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক মো. মারুফ হাসান এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে অনলাইনে যোগ দেন কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া।
ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বর্তমানে বিশ্বের সাড়ে ৪ বিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। বর্তমান সময়টাই তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের। ইন্টারনেট ছাড়া এখন একটি দিন কল্পনাও করা যায় না। সুতরাং আমাদেরকে সাইবার দুনিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশে এখন তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। এখনই সময় সাইবার নিপাত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার।
ড. মো. সবুর খান বলেন, বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডাটার যুগ। যার হাতে যত ডাটা তিনি তত ক্ষমতাবান। সুতরাং ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমাদের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখা ছাড়া উপায় নেই। তথ্য প্রযুক্তির পৃথিবীতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। আগামী বছরেই কোয়ান্টাম কমপিউটার বাজারে আসবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই কমপিউটার প্রচলিত কমপিউটারের চেয়ে ১০ মিলিয়ন বেশি ফার্স্ট হবে। সুতরাং প্রযুক্তির নিরাপত্তার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।
ইকবাল হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতেই হ্যাকিংয়ে ঘটনা বাড়ছে। শুধু গত বছরেই পৃথিবীর ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কোন না কোনাভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। সুতরাং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পৃথিবীর মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন। ইন্টারনেট দুনিয়ায় ডাটাকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের সেমিনার ও কর্মশালা অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে মন্ত্মব্য করেন তিনি।