ডিআইইউ’তে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’তে (ডিআইইউ) তৃতীয় শেখ রাসেল দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে ডিআইইউ’তে আলোচনা সভার আয়োজন ও বৃক্ষরোপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মিলনায়তনে একাডেমিক এফেয়ার্সের ডীন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্যাকাল্টি অব অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স এর ডীন (ইন-চার্জ) অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআইইউ’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. লিজা শারমিন, রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী, কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ রহিম, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ড. এ বি এম কামাল পাশা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোষ্যাল সায়েন্স এবং ড্যাফোডিল ইউনিভাটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয়েরর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করেন।
প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন এবং “রাসেল” নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই দিয়েছিলেন তার প্রিয় লেখক, প্রখ্যাত দার্শনিক এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেল এর নামে। ছোটবেলা থেকেই খুব সক্রিয় এবং খেলাপাগল রাসেল ছিলেন পরিবারের আলো, কিন্তু জীবন খেলায় ব্যস্ত থাকেনি।
তিনি আরও বলেন, মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই তাকে জীবনের কঠোর নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল যখন তাকে কেবল তার প্রিয় বাবার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ঢাকা সেনানিবাস যেতে হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলকে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় সে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।