সাম্প্রতিক সংবাদ

টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সংস্কারে রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি

ক.বি.ডেস্ক: কল ড্রপ, মিউট কল, ইন্টারনেটে ধীরগতি, টাকা কেটে রাখা, হঠাৎ করে টাকা উধাও হয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ গেলেই নেটওয়ার্ক না থাকা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উচ্চ সার্ভিস চার্জ সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মানসম্পন্ন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণা দেয়া এবং মোবাইল অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা ও সুবিধা কত তা প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত “গ্রাহকের মতামত ও গণ শুনানি” অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

গন শুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিইআরসি’র সাবেক সদস্য মুকুল ই-ইলাহী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা খালিদ আবু নাসের, সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুবক্কর সিদ্দিক, জলধার রক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ ইবনে রানা, সদস্য এডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির, ডাক্তার আমিনুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার প্রায় ১৫ জন গ্রাহক।

মুকুল ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সংস্কারে গ্রাহকদের বিভিন্ন দাবি দেয়া অভিযোগ এবং মানসম্পন্ন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণা দেয়া। সেটি হতে পারে ১৫ দিন এক মাস কিংবা দুই মাস।

খালিদ আবু নাসের বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ধাপে ধাপে যে লুটপাট হয় সেটি কমাতে পারলে এখনই ১০ থেকে ১২ শতাংশ মূল্য কমানো সম্ভব। প্রতিযোগিতার কথা বলা হলেও এ সেবায় প্রতিযোগিতা নেই। নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দেড় মাসে ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের মূল্য হঠাৎ কেন বৃদ্ধি পেল এর ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে চাই। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজের চার্জ হঠাৎ ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি কেন পেল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জবাব চাই। দেশের শতভাগ গ্রাহকের দাবি আনলিমিটেড মেয়াদহীন ইন্টারনেট ডাটা তার প্রতি উপদেষ্টা বিটিআরসি এবং অপারেটর সম্মান প্রদর্শন না করলে আগামী দিনে ইন্টারনেট ডাটা বয়কটের মত কঠিন কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণের জন্য কমিশনকে গন শুনানির আয়োজন করতে হবে।

আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, বিগত সরকারের সময় মন্ত্রণালয় যেভাবে ছিল এখনো তাই আছে। পরিবর্তনের কোন লক্ষণ আমরা দেখছি না।

সাঈদ ইবনে রানা বলেন, ইন্টারনেট আর পানির মধ্যে এখন খুব একটা পার্থক্য নাই। পানি ছাড়া যেমন জীবন চলে না ইন্টারনেট ছাড়াও তেমন আর জীবনে চলে না। তাই নবাবের চিহ্ন ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *