সাম্প্রতিক সংবাদ

টিএমজিবি সদস্যদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

ক.বি.ডেস্ক: দেশের প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) তাদের সদস্যদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে। ৪১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে “টিএমজিবি শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনটাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম, ইসিএস কমপিউটার সিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুল হাসান দীপু এবং ফ্রন্টটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদোয়ান ফেরদৌস। সভাপতিত্ব করেন টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএমজিবি সহ-সভাপতি (সদস্য কল্যাণ) রিশাদ হাসান, সহ-সভাপতি (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড করপোরেট রিলেশন) কুমার বিশ্বজিৎ রায়, সহ-সভাপতি (আন্তর্জাতিক) মইদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মাহাদী হাসান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম দাস্তগীর তৌহিদ, নির্বাহী সদস্য নাজমুল হোসেন সহ ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ এবং টিএমজিবির সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকরা টিএমজিবির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। টিএমজিবি আশা করে, এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনে সফল হতে সাহায্য করবে।

ড. মো. সবুর খান বলেন, “টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সন্তানদের এই ধরনের সহায়তা তাদের শিক্ষাজীবনে আরও উৎসাহ যোগাবে। এটি একটি মহৎ উদ্যোগ এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। ছোট থেকেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহের বিষয়গুলোতে ফোকাস করলে পরবর্তী সময়ে তাদের ক্যারিয়ার কিসে গড়তে চায় সেটি নির্ধারণ সহজ হবে এবং সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে।”

তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইল বা বিভিন্ন ডিভাইসে বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তবে অভিভাবকদের উচিত, শিশুদের মোবাইল ডিভাইসকেন্দ্রীক না করে খেলাধুলা করতে মাঠে নিয়ে যাওয়া। তারা যেন আসক্ত না হয়ে ডিজিটাল ডিভাইসের সঠিক ব্যবহার করে সেটা লক্ষ্য রাখা।”

ওয়াহিদুল হাসান দীপু বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরও বেশী আগ্রহী করে তুলবে।”

মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “টিএমজিবি বরাবরই ভিন্নধর্মী সব উদ্যোগ নেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এই শিক্ষাবৃত্তি আজকের শিশুদের বড় বড় মানুষ হতে উৎসাহ যোগাবে।”

রেদোয়ান ফেরদৌস বলেন, “গত কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশ বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যদি আগ্রহী হয় তাহলে রোবট নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে পারে। দেশে এখন রোবট তৈরির মতো শিক্ষাব্যবস্থাও যেমন চালু হয়েছে, তেমনি ছোটদের সেটি চর্চা করতে সরঞ্জামও পাওয়া যায়।”

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন বলেন, “আমাদের সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *