জিপি’র ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’
ক.বি.ডেস্ক: তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে “জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা” শীর্ষক রিজিওনাল বুটক্যাম্প শুরু করেছে গ্রামীণফোনের স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সেলারেটর। এর ফলে বিশেষজ্ঞের দিকনির্দেশনা ও প্রশিক্ষণে উপকৃত হবেন হাজারো ‘আইডিয়াপ্রেনর’। আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজনটি’তে সহযোগীতা করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত জিপি’র ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বিটিআরসি’র ফাইন্যান্স, একাউন্টস অ্যান্ড রেভিনিউ ডিভিশনের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, আইডিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজা উদ্দিন আহমেদ, শেয়ারট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক, দ্য লিগ্যাল সার্কেল প্রতিষ্ঠাতা আনিতা গাজী।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাহস, অনুপ্রেরণা ও সুযোগ থাকলেই স্মার্ট উদ্যোক্তা হওয়া যায়। এই তিন সুযোগ থাকার কারণেই সরকার, বেসরকারি উদ্যোগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ খাত গড়ে উঠবে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের চাই দক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক। আর এরকম আয়োজনগুলো তরুণদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে বের করে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
ইয়াসির আজমান বলেন, এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এই বুটক্যাম্প হাজারো উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করার পাশাপাশি স্টার্টআপ কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে, যা সম্মিলিতভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।
সামি আহমেদ বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো বাস্তবসম্মত এবং বাজারমুখী দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরতে পারবেন। এই বুটক্যাম্পগুলো শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই প্রদান করবে না, বরং উদ্যোক্তাদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ তুলে দেবে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে উদ্যোগটি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে।
জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা
এই আয়োজন মূলত আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা ও স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের সমন্বয়ে এবং দেশের ২০টি অঞ্চলে পিচ সেশনের মাধ্যমে সেরা ২০ জন ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করবে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করবে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে মাথায় রেখে এই আয়োজনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগীতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প। এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের যুব জনসংখ্যার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট নেশন হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।