জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক আইসিটি কোর্স চালু

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিভাগের অধীন এটুআই (অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট) এবং ইউনিসেফ এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক ৪ ক্রেডিটের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কোর্স চালু করেছে। কোর্সটিতে থাকবে ৩ ক্রেডিট থিওরি ও ১ ক্রেডিট প্র্যাকটিক্যাল।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের ৩১টি বিষয় ও অন-ক্যাম্পাসের ৪টি বিষয়ের প্রায় ৩.৬ লক্ষ শিক্ষার্থী এই কোর্সে অংশ নেবে। আগামী বর্ষ থেকে স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামের আরও ২ লক্ষ শিক্ষার্থী যুক্ত হলে প্রতিবছর মোট ৫.৬ লক্ষ শিক্ষার্থী এই কোর্সের আওতায় আসবে। তবে শিক্ষকের ঘাটতি ও পর্যাপ্ত কমপিউটার ল্যাবের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় এটুআই ও ইউনিসেফ কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে আইসিটি শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে অনলাইন কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি ও ৯০ জন মূল প্রশিক্ষক তৈরির জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। ধাপে ধাপে এসব প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৮৮৩টি অনার্স কলেজে ৯০০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরবর্তী বর্ষ থেকে ডিগ্রি (পাস) প্রোগ্রামেও আইসিটি কোর্স চালু হবে এবং প্রায় ১২ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোসফট ও অ্যাডোবি-এর সহায়তায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের প্রফেশনাল স্কিলড কোর্স চালুর পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আশা করছে, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক আইসিটি দক্ষতা অর্জন করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম জনশক্তিতে পরিণত হবে।