জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণ

ক.বি.ডেস্ক: ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়ন’ স্লোগানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও “বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৫” উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল স্কিলস পোর্টালে ‘লাইভ জব অপরচুনিটি’ প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ ৯টি স্কিলে ১১জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)।
জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা ২০২৬ সালে চীনের সাংহাইএ অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড স্কিলস’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এনএসডিএ তাদের প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকাস্থ বিনিয়োগ ভবনে এনএসডিএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান রেহানা পারভীন। অনুষ্ঠানে এনএসডিএ-এর সদস্য (সমন্বয় ও অ্যাসেসমেন্ট) মো. আব্দুস সামাদ, সদস্য (পরিকল্পনা ও দক্ষতামান) মিনা মাসুদ উজজামান এবং শিল্প দক্ষতা পরিষদ (আইএসসি), সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ ও এনএসডিএ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোসাদ্দেক খান। আলোচনা করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল হক এবং ডুয়েটের কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান।

এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, “তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যত। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার কারণে যে নতুন দুনিয়া তৈরি হয়েছে, সেখানে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হচ্ছে। এই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদের সক্ষমতা অর্জন করে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর যেই দেশের যুব শক্তি দক্ষতা অর্জন করেছে তারাই এগিয়ে গেছে। একাডেমিয়া, শিল্প প্রতিষ্ঠান, এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় যদি আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত সমাধান বের করতে পারি এবং তরুণদের সাথে নিয়ে আগামীর পথ রচনা করতে পারি, তাহলে আমরা সফল হবো।”
মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, “আমাদের ‘হোল অব গভর্ণমেন্ট’ প্রসেসকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের সক্ষমতায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল দক্ষতায় তরুণদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। মানুষের যাপিত জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।”
রেহানা পারভীন বলেন, “আমাদের শেখার পদ্ধতি, কাজের ধারাসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আসছে। চ্যালেঞ্জের জায়গাটা হলো এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য সকলকে সমানভাবে প্রস্তুত করে তোলা। এআই এর প্রভাব সর্বব্যাপী হলেও এ বিষয়ে সকলের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই। সকলের জন্য ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করার যে লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে চাই তা অনেকটাই ঝুকিঁর মধ্যে পড়ে যাবে। সাধারণ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।”