চালু হলো এটুআই’র ‘সাথী’ নেটওয়ার্ক
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এটুআই চালু করেছে ‘‘সাথী’’ নামক একটি নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটুআই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের ১০০ জন নারী উদ্যোক্তা নিয়ে এই নেটওয়ার্কের যাত্রা করেছে। পর্যায়ক্রমে এ নেটওয়ার্কের আওতায় দেশের সকল ইউনিয়নে একজন করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটারে অনুষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা সম্মেলনে এটুআই’র সাথী নেটওয়ার্ক এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার স্নিগ্ধা আলী। সভাপতিত্ব করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআই’র যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস) মো. জাকীর হোসেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ এবং এটুআই’র ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার তহুরুল হাসান প্রমুখ।
এটুআই’র সাথী নেটওয়ার্ক নারী উদ্যোক্তাদের এই নেটওয়ার্ক বেশকিছু কার্যক্রম গ্রহণ করবে। যেমন: নারী উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী নারীবান্ধব আর্থিক এক্সেস পয়েন্ট তৈরি করা; উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ; দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো; ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর সক্রিয়করণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা তৈরি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন সেবা নিশ্চিতকরণে নারী উদ্যোক্তাগণ অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। দীর্ঘ এক দশকেরও অধিক সময় যাবত তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাগণ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৃণমূল পর্যায়ের নাগরিকদের ব্যাংকিং সেবা, বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, টেলিমিডিসিন সেবা, ই-টিকেটিং ও ই-কমার্স সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নে নারী উদ্যোক্তাগণ অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।