চালু হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার
ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাল কমার্স ইকোসিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসা পরিচালনা করছে। উদ্যোক্তা পথচলায় সঠিক দিকনির্দেশনা, ব্যবসায়িক সাপোর্ট, এক্সপোর্ট প্রমোশনসহ ব্যবসা সম্প্রসারণে বিভিন্ন সহায়তা দিতে ব্রেকবাইট এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) বিশ্বব্যাংকের উইফি প্রকল্পের অধীনে নারী উদ্যোক্তাদের বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার চালুর জন্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে।
উদ্যোগটির লক্ষ্য বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করা। নারী উদ্যোক্তারা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ব্যবসায়িক সহায়তার জন্য +৮৮০১৮৪৭২৭০৭১৭ এ ফোন করতে পারবেন বা breakbite.com/ebusiness থেকে সরাসরি সাপোর্ট নিতে পারবেন।
আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) এনএসইউ ক্যাম্পাসে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণা করা হয়। ব্রেকবাইট, এনএসইউ, ই-ক্যাব, উই এবং ইনোভেশন কনসাল্টিং লিমিটেড নারী উদ্যোক্তাদের বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার চালু করছে। বিশ্বব্যাংকের উইমেন এন্টারপ্রেনারস ফাইন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (WeFi)-এর অংশ হিসেবে উদ্যোগটি বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এই কৌশলগত পার্টনারশীপের আওতায় প্রাথমিকভাবে এনএসইউ কর্পোরেট কানেক্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের স্নাতকদের ব্যবসায়িক সহায়তা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উম্মুক্ত করা হবে।সেন্টারটির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত সহায়তা ব্রেকবাইট থেকে প্রদান করা হবে।
এনএসই্উ একাডেমিক দক্ষতা এবং বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিং প্রদান করবে এব এনএসই্উ’র সহকারী অধ্যাপক ড. ফারজানা নাহিদ মার্কেটিং এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এই সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী হবেন। বিজনেস সেন্টারটি উদ্যোক্তাদের আর্থিক দিকনির্দেশনা, সার্টিফিকেশন সহায়তা, নেটওয়ার্কিং সুযোগ, আইনি সহায়তা এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক পরিষেবা প্রদান করবে। এটি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সলিউশন হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে।
ব্রেকবাইটের সিইও আসিফ আহনাফ বলেন, “এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট চিহ্নিত করে। এটি তাদের উদ্যোক্তা যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং ব্যবসায়িক সাপোর্ট দিয়ে সজ্জিত করার একটি সহযোগী প্রচেষ্টা।”
এনএসইউ সেন্টার ফর বিজনেস রিসার্চের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ বলেন, “এই অংশীদারিত্বটি বাস্তব ব্যবসায়িক সহায়তার সঙ্গে একাডেমিক ক্যাপাসিটিকে একীভূত করে, নারীদের জন্য একটি সহজ ও শক্তিশালী উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের পথ প্রশস্ত করে।”