সাম্প্রতিক সংবাদ

চর এলাকা থেকে আইএফটি বুয়েটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে ইতিহাস এবং সাফল্য এ দুই এর অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো মিলাই তাহলে দেখবো যেখানে ‘সাইজেবল ইকোনোমি’ বা বড় অর্থনীতির উপস্থিতি নেই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফল হয় না। সে বিষয়টি বিবেচনায় চর এলাকা থেকে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (আইএফটি) বুয়েটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেননা চর এলাকায় অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির জন্য দরকারি ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষক সহ প্রয়োজনীয় রিসোর্স মবিলাইজেশন প্রায় অসম্ভব।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘স্কিল গ্যাপ’ গোছাতে আইএফটি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক  ড. মো. মনসুর আলম।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমির মধ্যে ব্যাপক দূরত্ব রয়েছে এবং এই দুইয়ের উভয়েরই রয়েছে রিসার্চ গ্যাপ যা আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে। এ সমস্যার সমাধানের উপায় হচ্ছে আইএফটি। বুয়েটে আটটি ইনস্টিটিউটশন আছে পাশাপাাশি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ওয়াটার ম্যানেজমেন্টে বেশ কিছু সফলতা রয়েছে। দেশব্যাপী বুয়েট সফলতার সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে । সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মনে হয়েছে এটি যদি বুয়েটের তত্ত্বাবধানে দেয়া যায় তাহলে রিসোর্স মবিলাইজেশন এবং স্কিল গ্যাপ পূরণের দিক থেকে আইএফটি সফল হবে।

তিনি আরও বলেন, এই আইএফটি স্থাপনে আমাদের নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ এবং ডিজাইন বা আর্কিটেকচারে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। আমরা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার দূরত্ব ঘোচাতে এমন একটি মডালিডি বের করবো যেখানে বিদেশ ফেরত ফ্যালো শিক্ষকরা কোর্স নিতে পারবেন। ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয়তা ও দক্ষতা অনুসারে আমরা স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোর্স কারিকুলাম ডিজাইন করব। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচলিত নিয়মের অধীনে করা সম্ভব নয়। আশা করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্কিলগ্যাপ পূরণের যাত্রাটা শুরু হবে।

এই ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (আইএফটি)’তে মেশিন লার্নিং, এআই, আইওটি, মাইক্রো- ফেব্রিকেশন, ব্লকচেইন, প্রযুক্তিগত ইথিক্স, জৈব প্রযুক্তি, ন্যানোপ্রযুক্তি, নিউরো টেকনোলজি, ডেটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি, হাইপার-অটোমেশন, বিহেভিয়ার, ইন্টেলিজেন্স ও এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, অন্টারপ্রেনিউরশিপ, ইনোভেশন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সাস্টেইনেবিলিটি ইত্যাদি পাঠদান করা হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *