কোষাগার ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল রূপান্তরে ডাক বিভাগ

ক.বি.ডেস্ক: আইবাস প্লাস প্লাস (iBAS++) সিস্টেমে নির্মিত এই মডিউলটি ডাক বিভাগের ৭২টি প্রধান ডাকঘরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কোষাগারের সঙ্গে অর্থ উত্তোলন, জমা ও লেনদেন কার্যক্রমকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় করবে। এই মডিউলের কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে সরকারি হিসাব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সময়ানুবর্তিতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত হবে। মডিউলটি সরকারের গর্ভনমেন্ট ইন্টিগ্রেটেড ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএফএমআইএস) এবং ট্রেজারি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট কাঠামো বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে ডাক অধিদপ্তরের বিজনেস প্রসেস অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত মডিউল ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগের তহবিল সরবরাহ এবং অন্যান্য রেমিট্যান্স লেনদেন’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ১) বিলকিস জাহান রিমি, অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনীতি) সিরাজুন নূর চৌধুরী, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এস এম রেজভী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আইবাসের সবগুলো মডিউলকে যদি আমরা এক জায়গায় এনে একটি সুপার অ্যাপ করতে পারি তাহলে তা আরও কার্যকর হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোম্পানিগুলোকে আইবাসের মাধ্যমে একোমোডেট করতে চাই। আমরা এই বিষয়টি ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন মাস্টারপ্ল্যান কিংবা ডেটা গভর্নেন্স অথরিটির সঙ্গে আইবাসের ইভ্যালুয়েশন প্ল্যানকে সেন্টার পয়েন্টে রাখবো। যাতে করে ফাইনান্সিয়াল অর্গানাইজেশনগুলো নন ফাইনান্সিয়াল বা রাজস্ব খাতের বাইরের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোর সঙ্গে যখন লেনদেন করবে তখন তাদেরকে স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ডাক বিভাগ অত্যন্ত পুরনো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এটির একাউন্টিং স্ট্রাকচার ম্যানুয়াল। এই প্রতিষ্ঠানকে আইবাসের মাধ্যমে ডিজিটাল স্ট্রাকচার্ড করতে হবে। আইবাস প্লাস প্লাসের মতো যে কারিগরি স্থাপনাগুলো আছে সেগুলোকে ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। এটি হয়ে গেলে স্থাপনাগুলো সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্সের আওতায় কিছু প্রটেকশন পাবে। এর পাশাপাশি আমরা একটি ড্যাশবোর্ড করতে পারি যাতে রিয়েল টাইম ট্রানজেকশন দেখা যাবে, একাউন্টিংয়ের কেপিআইগুলো দেখা যাবে যার মাধ্যমে সাকসেস রেটগুলো দেখতে পারবো।”