ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২ শুরু
ক.বি.ডেস্ক: এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের সুরক্ষায় আবার শুরু হলো ‘‘ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২’’। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, টিভি বা অন্যান্য আইসিটি পণ্য জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা কিংবা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টে ওয়ালটনের নতুন কমপিউটার পণ্য কেনা যাচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ালটন পণ্যের মূল্য ৬ মাসের কিস্তি এবং ৩ মাসের ইএমআই সুবিধায় পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা কিংবা অনলাইনের ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এসব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত এক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২’ উদ্বোধন করেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান; ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও হুমায়ূন কবীর; ওয়ালটন ডিজি-টেকের ডিএমডি প্রকৌশলী লিয়াকত আলী; ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ফিরোজ আলম, আমিন খান; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম ও জিনাত হাকিম এবং ওয়ালটন কমপিউটার পণ্যের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান রাদ প্রমুখ।
ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-২ ক্যাম্পেইনে ওয়ালটনের ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার, ট্যাব, র্যাম, এসএসডি/পোর্টেবল এসএসডি, পাওয়ার সাপ্লাই, ইউপিএস, রাউটার, কি-বোর্ড, মাউস, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি পণ্যে একচেঞ্জ সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে উল্লেখিত পণ্যগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্র্যান্ডের (সচল কিংবা অচল) সমজাতীয় পণ্য দিয়ে এক্সচেঞ্জ করা যাবে। তবে মনিটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিভি এবং ট্যাবের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন (স্মার্ট কিংবা ফিচার ফোন) এক্সচেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্ববৃহত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ওয়ালটনের কারণে সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যে শক্তি ধারণ করছে, ওয়ালটন তার অংশীদার। বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য সৌর বিদ্যুত ব্যবহারসহ ওয়ালটন নানান টেকসই উদ্যোগ নিয়েছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে কার্যক্রম আজ ওয়ালটন নিয়েছে, তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ কার্যক্রমের সঙ্গে সাধারণ গ্রাহককে সম্পৃক্ত করতে ওয়ালটন ল্যাপটপের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ায় অংশ নিতে ওয়ালটন মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করছে।
এস এম রেজাউল আলম বলেন, ই-বর্জ্য পরিবেশ ও মানবজাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ই-বর্জ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এই এক্সচেঞ্জ অফার চালু করেছি। আমরা চাই ই-বর্জ্য থেকে মানুষ সুরক্ষিত থাকুক। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত হোক।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখছি এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হবো, স্বনির্ভর হবো। এর পেছনে সাসটেইনেবিলিটি একটি বিশাল ফ্যাক্টর। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে ওয়ালটনই দুই বছর আগে প্রথম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে। ওয়ালটনের এই সাসটেইনেবল উদ্যোগের নাম বেটার বাংলাদেশ টুমরো। এর উদ্দেশ্য সবার মাঝে সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাক্টর জাগিয়ে তোলা, যাতে আমরা তা অনুভব ও ধারণ করি। এর আগে আমরা টেলিভিশন ও এয়ার কন্ডিশনারে এক্সচেঞ্জ অফার দিয়েছি। ল্যাপটপে দ্বিতীয়বার এমন সুযোগ দেয়া হলো। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে। ই-বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হবে, দেশ লাভবান হবে।