এটুআই এবং স্পারসো’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ক.বি.ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং এ-সংক্রান্ত গবেষণা-উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় খসড়া কৌশলপত্র তৈরি, কৌশলপত্রের আলোকে কারিগরি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্পার্সোর দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। স্পারসো এবং এটুআই উভয় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/এজেন্সি/ইনস্টিটিউট/সংস্থার জন্য স্পারসো কর্তৃক প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রমের চাহিদা নিরূপণ করবে এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল/আউটপুট প্রচার করবে।
গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং স্পারসো’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম। এ সময় এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং এটুআই ইনোভেশন ফান্ড প্রধান নাঈম আশরাফী উপস্থিত ছিলেন।
উভয় প্রতিষ্ঠান মহাকাশ গবেষণালব্ধ উপাত্ত হতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ধরনের সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা অন্বেষণ করবে। স্পারসো-এর কর্মকর্তাদের জন্য এটুআই স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহায়তা করবে। এ ছাড়াও, নিজেদের ল্যাবরেটরি, লজিস্টিক সুবিধা, লাইব্রেরি ইত্যাদি ব্যবহারে স্পারসো এবং এটুআই পারস্পরিক সহায়তা করবে।
মহাকাশ ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তি, জ্ঞান, অবকাঠামো এবং এগুলোর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষ স্পেস এবং রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর যথাযথ প্রয়োগ ও সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সমসাময়িক এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এটুআই এবং বিএসএমআরএএইউ’র যৌথ উদ্যোগে এটুআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড-এর আওতায় মহাকাশ গবেষণায় রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি প্রথম মডেল রকেট উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মডেল রকেটের নকশা তৈরি, নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য নিরাপদ ইকোসিস্টেম তৈরির উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।