এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির লড়াই চলছে: মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সংস্কৃতির অদম্য শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা কাজে লাগিয়েছি। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির লড়াই চলছে। ২০২১ সালে প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল ব্যাংকিং যুগে প্রবেশে করেছে। জমির নামজারি, রেলের টিকিটসহ প্রায় সকল অত্যাবশ্যকীয় সেবা এখন ঘরে বসেই সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গত পৌনে পনের বছরে অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে।
গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে, সূর্যসেন হল সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূইয়া, চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহম্মেদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সূর্যসেন হল সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি আসাদুজ্জামান অভি।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধির চলমান এ লড়াই এগিয়ে নিতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যে কোনো মূল্যে আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই দেশটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে যে রূপান্তর ঘটেয়েছেন তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এদেশে সুষ্ঠু ধারার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের যাত্রা হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে সংস্কৃতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছি। সমাজ পরিবর্তনে সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রতিমূহুর্তের যুদ্ধ। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভিত শক্তিশালী করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শাণিত হবে না। যাত্রার শুরু থেকেই এ হলের ছাত্ররা ছিল প্রগতিশীল রাজনীতির ধারার অনুসারি। মধুর কেন্টিনে বসে জয় বাংলা শ্লোগান এ হলের ছাত্রদেরই প্রথম উচ্চারণ। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হলের নাম পরিবর্তন করে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে পরিবর্তন আমাদেরই প্রচেষ্টার ফসল। অতীতের মতো আগামী দিনগুলোতেও প্রগতিশীল আন্দোলনে সূর্যসেন হলের ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হলের নাম পরিবর্তন করে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে পরিবর্তন করার আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ডাকসুর উদ্যোগে মঞ্চস্থ তার লেখা এক নদী রক্ত নাটকটিতে শহীদ শেখ কামাল অভিনয় করেছিলেন। নাট্যচক্র প্রতিষ্ঠায় এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভূমিকা ছিলো।