উবার’র ৮ বছর: ৩.৫ লাখ ড্রাইভার এবং ১৬.৬ কোটি ট্রিপ সম্পন্ন করেছে
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার তাদের ৮ম বার্ষিকী উদযাপন করছে। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় যাত্রা করার পর থেকে উবার দেশের পরিবহন খাতে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে তারা মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ৭.২ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে এবং ৩.৫ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। উবার চালকরা গত আট বছরে ১২২ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন, যা পৃথিবী থেকে চাঁদে প্রায় ৩০০০ বার যাতায়াত করার সমান!
২০১৬ সালে যাত্রার পর থেকে উবার বাংলাদেশে ১৬.৬ কোটি ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। এতে বোঝা যায় দেশজুড়ে উবার ব্যবহারকারীদের একটি বিপুল ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রয়েছে। একইসঙ্গে সাড়ে তিন লাখ ড্রাইভার-পার্টনার উবার প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করেছেন।
উবার বাংলাদেশ ৮ম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় উবার শীর্ষ ড্রাইভার-পার্টনার, যাত্রী ও হিরো পার্টনারদের স্বীকৃতি প্রদান ও উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের জন্য অন-ট্রিপ থ্যাঙ্ক ইউ টোকেন প্রদান করা হয়েছে। টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য একটি দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন। পাশাপাশি শীর্ষ যাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইফস্টাইল ভাউচার প্রদান করা হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস বলেন, ‘গত আট বছরে উবার বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেছে। উবার যাত্রীদের চালকদের সঙ্গে সংযুক্ত করে যারা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের কমিউনিটির জন্য সেবা উন্নত করতে ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বছরজুড়ে উবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএ-এর মতো সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে। নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ-এর অংশ হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উবার একাধিক উদ্যোগ চালু করা করেছে।
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাইডশেয়ারিং বাজার হিসেবে পরিচিত। সরকার যখন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে উবার শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব আনার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা হলে সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ, স্মার্ট ও কার্যকর করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সহজতর পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।