উন্মোচিত হলো বাংলা ভাষার এআই প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই’
ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির জয়জয়কার। এরই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশে চালু হলো এআই প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই’ (kagoj.ai)। পাশাপাশি উন্মোচিত হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’। বাংলা ভাষার প্রথম এআই প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ‘কাগজ ডট এআই’। উন্মোচিত হওয়া দুটি সেবাই আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়েছে।
‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে এআই’র ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি। অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ফন্টটি কমপিউটার নির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি স্থানীয় হোটেলে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কাগজ ডট এআই’ এবং ‘জুলাই’ ফন্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, “গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে অচিরেই দেশের প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “তৈরি করা হবে বাংলা লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকোসিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে। এপিআই-এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। বর্তমানে যে টুলগুলো নিয়ে কাজ করছি আপনারা আমাদের কাছে এপিআই চাইবেন। এই টুলগুলো ব্যবহার করতে শুরু করবেন। যত বেশি ব্যবহারকারী বাড়বে তত বেশি সমস্যা আইডেন্টিফাই হবে ফলে তত বেশি ডেভেলপমেন্ট হওয়ার পাশাপাশি ডেভেলপমেন্ট স্পিড তত বেশি হবে।”





