‘উই-জয়ী’ পুরস্কার ও সম্মাননা পেলেন ২০ নারী
ক.বি.ডেস্ক: নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) ‘উই-জয়ী’ পুরস্কার ও সম্মাননা দিয়েছে। প্রতিবছরই সামিটের সময় ‘উই-জয়ী’ প্রদান করে। এবারও দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ১০ জন নারীকে উই-জয়ী সম্মাননা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উই’র সদস্যদের মধ্য থেকে ১০ নারী উদ্যোক্তাকে উই-জয়ী পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজয়ী প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট), উত্তরীয়, সনদ এবং উপহার প্রদান করা হয়।
দুই দিনব্যাপী (৬-৭ অক্টোবর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ উই সামিট এর সমাপনী দিনে গতকাল শনিবার ২০ জন নারীর হাতে উই-জয়ী’ পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এই পুরস্কার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিসিএ’র কন্ট্রোলার এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, দারাজের সিওও খন্দকার তাসফিন আলম। সভাপতিত্ব করেন উই সামিট ২০২৩ এর আহ্বায়ক নাসিমা আক্তার নিশা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উই এর পরিচালক ঈমানা হক জ্যোতি।
জয়ী সম্মাননা পেলেন যাঁরা
অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব শ্রেণিতে এ বছর জয়ী পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও শিক্ষাবিদ প্রয়াত পান্না কায়সার। সাংবাদিকতায় দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন; করপোরেট লিডার শ্রেণিতে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী; স্বাস্থ্যসেবায় উদ্ভাবক হিসেবে সেক্সুয়াল মেডিসিনের প্রধান ডা. সুষমা রেজা; সামাজিক প্রভাবক শ্রেণিতে বিশ্বব্যাংকের বেসরকার খাত বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস; ই-কমার্স পথিকৃৎ হিসেবে বিক্রয় ডটকমের সিইও ঈশিতা শারমীন; এফ–কমার্স শ্রেণিতে স্টিডফাস্ট ক্যুরিয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান জয়ীরিয়া মোস্তারি; শিক্ষা প্রভাবক শ্রেণিতে টেন মিনিট স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মুনজেরিন শহিদ; মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শ্রেণিতে অভিনয়শিল্পী হৃদি হক এবং সামাজিক প্রভাবক শ্রেণিতে উইমেনস ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা ফারনাজ আলম।
জয়ী পুরস্কার পেলেন যাঁরা
উইয়ের উদ্যোক্তা সদস্যদের মধ্যে ১০ জন এবার জয়ী পুরস্কার পেয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন ফ্যাব্রিকার্টের আকসা হৈম (উদ্যোক্তা); নুকি শপ বিডির জান্নাতুল ফেরদৌস (স্থানীয় পণ্য); ত্রিরত্নের শাহিদা মনোয়ার (অনুপ্রেরণা); ই-হাটবাজারের রাওয়াওদা তানজিদা (স্পিরিট অব দ্য ইয়ার); কাব্যকন্যার নাশিদ আন্দালিব (উদীয়মান তারকা); রূপবানের শিমুল বিল্লাহ খান মজলিশ (উদ্ভাবন); ফারহানাস ড্রিমের ফারহানা আক্তার (সামাজিক উদ্যোক্তা); ওয়াজেদাস কালেকশনের পারভিন বেগম (রপ্তানিকারক); স্বপ্নচূড়ার ইশরাত জাহান (প্রচারণা) এবং কুকমাসালার ফেরদৌস আক্তার (ব্যবসা)।
মন্ত্রী ড. দিপু মনি বলেন, নারীরা সমাজের অর্ধেক। এই অর্ধেককে এগিয়ে নিতে না পারলে, তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে কোনো দেশই এগিয়ে যেতে পারবে না। নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। তাই তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। নারীদের এগিয়ে নিতে সেইসব সহযোগিতাসহ নানা উদ্যোগে এগিয়ে যাচ্ছে উই।
সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, স্মাট সিটিজেন হতে হলে নারীদের স্মার্ট হতেই হবে। আমাদের নারীদের শক্তিকে যদি সঠিক ব্যবহার করতে না করতে পারি, অর্থনীতিকে কখনোই শক্তিশালী করা সম্ভব নয়, তাই তাদের শক্তিশালী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।