‘ই-কমার্সের বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক
ক.বি.ডেস্ক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকাশপিং ডটকম গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ)রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ই-কমার্সের বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ধামাকাশপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম রানা। স্বাগত বক্তব্য দেন ধামাকাশপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে এমডি জসিমউদ্দিন চিশতী। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ডা. এম. আলী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হলে অনলাইন পেমেন্টের বিকল্প নেই। আমাদের দেশে ই-কমার্স খাতটি যে খুব বেশি দিনের তা নয়। এর প্রসার ঘটেছে গত কয়েক বছরে। আর কোভিড-১৯ সময়ে এর প্রসার হয়েছে বেশি। একে ধরে রাখতে হবে। করোনাকালে ক্রেতাদের একটা বড় অংশ অনলাইনে পণ্য কিনেছেন। যাদের আগে অনলাইনে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ছিল না। সঠিক সময়ে পন্য ডেলিভারির পাশাপাশি ই-কমার্স ব্যবসার একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং এর আলোকে বিধিবিধান কার্যকর করা জরুরি। অন্যদিকে সমস্যা রয়েছে পেমেন্ট সিস্টেম নিয়েও। এখনো আমাদের ই-কমার্সে লেনদেনে ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় হয়। যদিও বর্তমানে কার্ডে এবং এমএফএস লেনদেন অনেক বেড়েছে। এসব বিষয়গুলোর যত দ্রুত সমাধান করা যাবে, ততই আমরা ই-কমার্সের পরিপূর্ণ সুফল ভোগ করতে পারব।
দেশের ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হলে অনলাইন পেমেন্টের বিকল্প নেই। ই-কমার্স ব্যবসার একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিধিবিধান কার্যকর করা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
মো. হাফিজুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ সময়ে আমরা চেষ্টা করেছি ই-কমার্সকে সক্রিয় করার। সে সময় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছিল না, তখন আমরা চেষ্টা করেছি মানুষের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে। সে সময় বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, বিশেষ করে ই-ক্যাব আমাদের সঙ্গে ছিল। পেমেন্ট, ডেলিভারি, ইন্টারনেট, ভোক্তার স্বার্থ বা ট্রাস্ট এসব নির্ভর করে ই-কমার্সের ভবিষ্যত কি হবে। আমাদের প্রশ্ন আছে, আমরা সিওডিতে যাবো নাকি অনলাইন। কিন্তু ই-কমার্স মানেই অনলাইন পেমেন্ট। আমাদের পরিস্থিতি এমন, ভোক্তারা কোনোভাবেই আস্থা রাখতে পারে না। তাই অনলাইন পেমেন্ট করা একটা সমস্যা হচ্ছে। এসব থেকে বের হতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম রানা বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা বিষয় মাথায় রেখেছি, সেটি হলো গ্রাহকদের সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দেয়া। সেটা সম্ভব হয়েছে। আমরা চাই দেশের ই-কমার্স ব্যবস্থা ও গ্রাহকদের কেনাকাটার ধারণাকে ধামাকার মাধ্যমে বদলে দিতে।
জে এমডি জসিমউদ্দিন চিশতী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই ডিজিটাল বিজনেসের সঙ্গে আছি। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে দেশে ই-কমার্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই ধামাকার শুরু। আমরা চাই ই-কমার্স ভালো অবস্থানে আসুক। তাই পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে আমরা সঠিক সময়ের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারি। তাই নির্দিষ্ট স্টক থাকা সাপেক্ষেই আমরা অর্ডার নিয়ে তা ডেলিভারি করছি। স্টকে নেই এমন পণ্য অর্ডার নিই না। ৎ
এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ই-ক্যাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন, ওয়ালটনের কর্পোরেট সেলের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, ই-ক্যাব ডিরেক্টর আসিফ আহনাফ এবং ইকুরিয়ারের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল।