আস্থার ২২ বছরে বিসিএস কমপিউটার সিটি
১৯৯৯ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যাত্রা করা বিসিএস কমপিউটার সিটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শের-ই-বাংলা নগরের আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে অবস্থিত। নজরকাড়া স্থাপত্যশৈলীর আইডিবি ভবনে রয়েছে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা ও প্রযুক্তি পন্যের সমাহার। আর এ কারনেই প্রতিদিন ক্রেতাগন এখানে আসেন প্রযুক্তি পণ্য কিনতে। প্রায় ১০০,০০০ বর্গফুট আয়তনের চারতলা এই ভবনে ১৫৬টির অধিক প্রযুক্তি পণ্যের বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বাংলাদেশে সর্ববৃহত এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি পণ্যের বিশেষায়িত বাজার বিসিএস কমপিউটার সিটি। এখানে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য কিনতে পাওয়া যায়-কমপিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, সফটওয়্যার, ক্যামেরা, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতকৃত কমপিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এখানে ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবেন। বিসিএস কমপিউটার সিটিকে বলা হয় বাংলাদেশের আইটি শিল্পের কেন্দ্রস্থল। বিসিএস কমপিউটার সিটি বছর জুড়েই কমপিউটার মেলাসহ তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
আস্থার ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিসিএস কমপিউটারর সিটিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী প্রযুক্তি পণ্যের উতসব। চার দিনের এই আয়োজনে ক্রেতাদের জন্য থাকছে নানা রকম ছাড় ও উপহার। চার দিনব্যাপী এই আয়োজন ১১-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। আয়োজনে অংশগ্রহণ করছে আসুস, অ্যাভিটা, এমএসআই এবং ট্রান্সসেন্ড। এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চারটি বুথ রয়েছে।আয়োজন চলাকালীন সময়ে যে সকল ক্রেতারা পণ্য কিনতে আসবেন তারা বিভিন্ন ধরনের অফার, বিশেষ ছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহার পাবেন।
আজ সকালে অনলাইনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয়। অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক মহাসচিব মুনীম হোসেন রানা, মালয়েশিয়া থেকে যুক্ত ছিলেন বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, বিসিএসের সাবেক সভাপতি মো. সবুর খান, জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ এইচ কাফিসহ বিসিএস কমপিউটার সিটির সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটিরি সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী)।
বিকেলে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর, সহসভাপতি জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী), সদস্য সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার পর ক্রেতা এবং উপস্থিত সকলকে কেক ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
বিসিএস কমপিউটার সিটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি বিশেষায়িত বাজার। নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং টাইলস সজ্জিত একটি ভবন। এখানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১০০টি গাড়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সামনের রাস্তা ও ফুটপাতে ১০০টি গাড়ী পার্ক করা যায় (যদিও মেট্রোরেলের কাজ চালু থাকার কারণে সামনের দিকে শুধুমাত্র হোন্ডা পার্কিং করা যায়)। গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট হারে চার্জ প্রদান করতে হয়।
প্রত্যেক ফ্লোরে টয়লেট সুবিধা রয়েছে। মহিলাদের জন্য রয়েছে পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। সার্বক্ষণিক টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। এছাড়া রয়েছে নামাজের জন্য মসজিদ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। রয়েছে এস্কেলেটর সিড়ির সুবিধা এবং দুটি লিফট। মার্কেটটির নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি রয়েছে। এখানে নিজস্ব একদল প্রশিক্ষিত ও চৌকস সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে, মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা খু্বই দক্ষতার সঙ্গে পালন করে আসছে। মার্কেটটি প্রতি সপ্তাহের রবিবার বন্ধ থাকে। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।