আজকের বিশ্বে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের যে গতি তা অভাবনীয়: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: আজকের বিশ্বে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের যে গতি তা অভাবনীয়। এই গতিতে প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন যাপন কৌশল এবং কর্মসংস্থানের প্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে তথ্যপ্রযুক্তি অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১০ নম্বর লক্ষ্য অসমতার হ্রাস যা আমাদের এবারকার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায়। তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম খাতে বৈষম্য ঘুচিয়ে নারী ও গ্রামের মানুষদের এগিয়ে নিতে ইন্টারনেট ও ডিভাইসে পিছিয়ে পড়াদের অ্যাক্সেস বাড়ানো এবং মুঠোফোনেই ব্যক্তি নিজেই যেন সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে অনুষ্ঠিত ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’- এর প্রাক্কালে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।
১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি কার্যালয়েই সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য। এবারের আয়োজনে বেশ কিছু ব্যতিক্রম কার্যক্রম রাখা হয়েছে- গত এক বছরে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা কৃতি সন্তানদের সম্মাননা দেয়া হবে। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)- এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিযোগী তাদের আইডিয়াগুলো উপস্থাপন করেছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এবার আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি একটা নিছক দিবস উদযাপনের বাইরে এসে এবারের দিবসকে ভিন্ন মাত্রায় উদযাপন করার। বিগত সরকারের আমলে এক নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এই দিবসটি এ ক্যাটাগরি থেকে সি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আগে বাজেটে অযথা মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিয়ে মুখরোচক প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হতো। বর্তমান সরকার সেই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ ফ্রীল্যান্সার রয়েছে তার মধ্যে নারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও নারীদের সংখ্যা কম। অর্থাৎ ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এবং রিলেটেড যে ইনডেক্সগুলো রয়েছে সেগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ এবং অ্যাক্সেস টু ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং এক্সেস টু ডিজিটাল সার্ভিসেস দুটো ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ কম। আমাদের ডিজিটাল ট্রাসফর্মেশনের যে পলিসিগুলো আছে এই পলিসিগুলো বিস্তারিতভাবে সঙ্গায়িত করতে হবে। আমাদের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, তাই তাদের এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেয়ায় গতবারের চেয়ে এবার বাজেট কম হবে। মুখোরোচক প্রকল্প না বাড়িয়ে এবং সরকারি ব্যয় কমিয়ে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেই জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “ইন্টারনেটের মূল্য কমানো শুধু বিটিআরসির একক সিদ্ধান্ত নয়; এটি পুরো ইন্ডাট্রির বিষয়। আমরা বাজারকে ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই। প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই বাজার মূল্য নির্ধারিত হবে।
মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠান না হলেও দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।