আগামীর ই-ক্যাব’কে কিভাবে দেখতে চাই
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সরকার অনুমোদিত একমাত্র বাণিজ্যিক সংগঠন যা ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সাল সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পায়। একটি সংগঠনের শুরু ২০১৪ সাল থেকে থাকতে পেরে এবং ভালো মন্দের মাঝে এর বেড়ে ওঠা দেখে খারাপের মধ্যেও একটা ভালো লাগা কাজ করে।
জুলাই-আগস্ট ট্রাজেডি বা ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কারণে পূর্ব নির্ধারিত ২৭ জুলাই এর নির্বাচন না হওয়া, বিগত ১০ বছর যারা ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটিগুলোতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে এককভাবে থেকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং সদস্যদের নানা অধিকার হরণ করেছেন তাদের পদত্যাগের কারণে প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। আইসিটি উপদেষ্টা, আইসিটি সচিব, বাণিজ্য সচিব, মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ (ডিটিও) এবং প্রশাসক বরাবর ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের দাবি সম্বলিত চিঠি হস্তান্তর করা হয়।
বিশেষ করে প্রশাসকের কাছে জোরালোভাবে আবেদন করা হয় ই-ক্যাবের আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম (সংঘ বিধি) পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং সংশোধন করে আধুনিকায়ন করা সঙ্গে সঙ্গে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি স্বচ্ছ এবং পরিপূর্ণ ভোটার তালিকা তৈরি করার জন্য। যেন একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই আগামী ২০২৫ সালে ই-ক্যাবকে যেভাবে দেখতে চাই…
ই-ক্যাবকে এই খাতের অভিভাবক সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই। যেন সরকার এবং অংশীজনেরা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের যেকোন বিষয়ে ই-ক্যাবকে আমলে নিয়ে কাজ করে। সেজন্য প্রকৃত ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন দেখতে চাই। সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবকে সম্পূর্ণভাবে এবং পরিপূর্ণভাবে একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়িক সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শ যেন সংগঠনকে কোনভাবেই প্রভাব না ফেলে।
ই-ক্যাবের অবদানের মাধ্যমে ই-কমার্স খাতকে একটি ইন্ডাস্ট্রি বা শিল্প হিসাবে সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেখতে চাই। ট্রেড লাইসেন্সে ক্যাটাগরি হিসাবে ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চাই। ই-ক্যাবকে পরিপূর্ণভাবে একটি সদস্য বান্ধব সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই। ই-ক্যাবের কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণভাবে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা চাই সঙ্গে সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই।
আগামীর ই-ক্যাবের জন্য আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম বা সংঘ বিধি সংস্কারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সংগঠনের সদস্যদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুগোপযোগী এবং আধুনিকায়ন করে সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন করা খুবই জরুরী। উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালে এটি যখন করা হয় তখন এটি কপি পেস্ট এর মত অনেক ভুল, অনেক মিস ম্যাচিং, অনেক কিছুই পরিস্কার নেই এর মধ্যে। পরিপূর্ণভাবে একটি সুন্দর, সবার জন্য বোধগম্য, সব আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমন্বিত, পরিপূর্ণ একটি আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম বা সংঘ বিধি প্রণয়ন করা উচিত যা প্রচলিত কোম্পানি আইন, বাণিজ্য সংগঠন আইন অন্যান্য পরিপত্রগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ই-ক্যাবের সংঘ বিধি সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন করে আধুনিকায়ন বা যুগপোযোগী করার এখনই উপযুক্ত সময় এবং নিম্নোক্ত প্রত্যেকটি বিষয়েই এই পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত…
পর পর দুইবার এর বেশি যেন কেউ নির্বাচন করতে না পারে সেটির সংঘ বিধির সংশোধন চাই। ১১ জনের কার্যনির্বাহী পরিষদের স্থলে ১৫ জন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা যেতে পারে। কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রার্থী হওয়ার জন্য সদস্যপ্রাপ্তির সময়কাল দুই বছরের বেশি হতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন যদি ভোটের ১২০ দিন আগে সদস্য হন।
সদস্যরা যেন সকল তথ্য জানার অধিকার পায়, কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং মিনিটস, আর্থিক লেনদেন বা কর্মকান্ড সহ যে কোন বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার নিশ্চয়তা পায়, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা যাতে থাকে সেজন্য ও সংঘ বিধির সংশোধন দরকার।
আগামীর ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং এর চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান সদস্যদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশনা সংঘ বিধিতে থাকতে চাই। বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ সদস্যরাই যাতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান হতে পারেন। স্ট্যান্ডিং কমিটি কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবনা বা পরিকল্পনাগুলো প্রত্যেকটি সদস্যকে জানানোর নিশ্চয়তা চাই।
এই খাতের বৃহত্তর স্বার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরামর্শ দেয়ার জন্য এই খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কার্যকর লিগাল অ্যাডভাইজারি প্যানেল চাই যারা কার্যনির্বাহী পরিষদকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পরামর্শ দেবেন। পরিপূর্ণভাবে স্বতন্ত্র এবং স্বাধীন সেক্রেটারিয়েট চাই। সেক্রেটারিয়েইট পরিচালনারীতির বাইরে কার্যনির্বাহী পরিষদ যেন কোনোভাবেই প্রভাব ফেলতে না পারে। সে জন্য সংঘ বিধির সংশোধন দরকার।
ই-ক্যাব সদস্য বা ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবসাইট এবং পেমেন্টগেটওয়ে থাকতে হবে। ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছরের পুরনো ট্রেড লাইসেন্স সঙ্গে অন্যান্য কাগজপত্র টিন, বিন এবং ব্যাংক হিসাব বাধ্যতামূলক দেখতে চাই। প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই যাতে সদস্য হতে পারে সে জন্য সুস্পষ্ট বিধান রাখা। ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে হলে ওয়েবসাইট এবং পেমেন্ট গেটওয়ে বাধ্যতামূলক করা। এ ছাড়াও অসংখ্য বিষয় বা ধারা উপধারাগুলো অস্পষ্ট থাকায় অনেক সময় নৈতিক বা নিয়ম বহির্ভূত কাজ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
ই-ক্যাবের সদস্যদেরকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভাজন করতে চাই জেনারেল মেম্বার, অ্যাসোসিয়েট মেম্বার, এফিলিয়েটেড মেম্বার এবং সে অনুযায়ী আনুপাতিক হারে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিনিধিত্ব চাই। এক্ষেত্রে আমরা বেসিসকে অনুসরন করতে পারি।
ই-ক্যাবের উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা, সহ প্রতিষ্ঠাতা সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সম্মানিত করতে চাই। ত্রৈই মাসিক ভিত্তিতে ই-ক্যাবের কাজের অগ্রগতি সম্বলিত নিউজ লেটার প্রকাশ করতে চাই। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের অতীত বর্তমান, ভবিষ্যৎ এবং প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে সঙ্গে সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা, তথ্য এবং উপাত্তের জন্য একটি গবেষনা বিভাগ করতে চাই।
সদস্যদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির জন্য কোম্পানি ক্যাটাগরি বা ব্যবসার ধরন অনুযায়ী সদস্যদেরকে আলাদা করতে চাই। এসএমই এবং স্টার্টআপ মডেলের কোম্পানিগুলোকে মেন্টরিং করার জন্য প্রতিষ্ঠিত সদস্য কোম্পানিদের নিয়ে ইনকিউবেটর সেন্টার করতে চাই। বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ই-ক্যাবের সদস্যদের জন্য, সহজ শর্তে লোন অথবা প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে চাই। যেকোনো ধরনের পলিসি মেকিংয়ের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের বাহিরে সাধারণ সদস্যদের সম্পৃক্ততা আরও বেশি দেখতে চাই।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জামানত বিহীন লোনের ব্যবস্থা করা। চিরাচরিত অফলাইন ব্যবসার মতো ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের অনেক সময় মেশিনারি, স্টাবলিশমেন্ট অনেক সময় থাকে না। এদের থাকে টেকনোলজি, গুড উইল, কাস্টমার ডাটা, কুরিয়ার ডাটা, ফেসবুক লাইক বা রিচ অথবা ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা। এগুলো বিবেচনা করেই লোনের ব্যবস্থা করা। সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্রাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সবার সেলস, ব্যবসায়ের গ্রোথ এবং কোম্পানি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার ব্যবস্থা করা।
পৃথিবীর প্রায় অন্যান্য দেশে যেখানে ই-কমার্স গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে সেখানেই ই কমার্স ক্যাশলেস হয়েছে, বাংলাদেশে এখনো ক্যাশ অন ডেলিভারিতে হয় কিন্তু ক্যাশলেস করার জন্য বাংলাদেশের এমএসএস কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই লেনদেন বেশি করাতে হলে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এমএমএস কোম্পানির সার্ভিস চার্জ ০.৫ টাকাতে নামিয়ে আনা এবং পেমেন্টগেটওয়ের চার্জ ও ০.৬ টাকার মধ্যেই রাখার ব্যবস্থা করা। এটির ইফেক্ট আল্টিমেটলি কাস্টমার পাবে প্রাইস কমে যাবে।
ফেসবুক অ্যাড এর ক্ষেত্রে অ্যাড লিমিট প্রত্যেকটি ই-কমার্স ব্যবসায়ীর জন্য বাৎসরিক মিনিমাম ৩০০০০ ডলার করে দেয়া উচিত। দেশীয় পণ্য দেশের বাইরে প্রচার-প্রসারের জন্য ক্রস বর্ডার ই-কমার্সকে উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত, সেক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জ ভ্যাট ট্যাক্স এর বিষয়গুলোকে ক্রস বর্ডারের জন্য শিথিল করা যেতে পারে। বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল পোস্টাল সার্ভিসকে আরও বেশি যুগোপযোগী এবং গ্রহণযোগ্য করে ক্রস বর্ডারকে উৎসাহিত করা উচিত।
ই-ক্যাবের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ,নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার জন্য প্রকৃত ব্যবসায়ী সদস্যদের দ্বারা একটি স্বচ্ছ এবং প্রকৃত ব্যবসায়ী ভোটার তালিকা করা খুবই দরকার। সদস্য হলেই ভোটার হতে পারবে বিষয়টাকে এমন না করে ভোটার হওয়ার জন্য বেশ কিছু ক্রাইটেরিয়া সংযুক্ত করলে এতে করে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই ভোটার হতে পারবেন। নিচে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি…..
ই-ক্যাব সদস্য বা ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবসাইট এবং পেমেন্টগেটওয়ে থাকতে হবে। যারা শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করবেন তারা মূল সদস্য না হয়ে অ্যাসোসিয়েট সদস্য হবেন এবং ভোটের অধিকার থাকবে না।
হালনাগাদ মানে চলতি বছরের মেম্বারশিপ রিনিউ থাকতে হবে। তিন থেকে চার বছরের পুরনো ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। একেবারেই হালনাগাদ মানে চলতি বছরের ট্যাক্স রিটার্ন হালনাগাদ থাকতে হবে। ব্যবসা চলমান আছে সেটি প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যাংক স্টেটমেন্টে অথবা ব্যাংক কর্তৃক অ্যাকাউন্ট একটিভ এবং সলভেন্সি সার্টিফিকেটের কপি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
যারা পরিপূর্ণভাবে চাকরিজীবী তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠান সচল আছে কিনা সেটি যাচাইপূর্বক ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা দিতে হবে। একই ফোন নাম্বার বা একই অফিস ব্যবহার করে একাধিক সদস্য থাকলে যেকোনো একজন সদস্যকে সেখানে ভোট দেয়ার অধিকার দেয়া উচিত।
রিনিউয়াল ফি অবশ্যই অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে হতে হবে, একই বিকাশ নাম্বার বা একই অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের কোম্পানির বাহিরে অন্য কারও টাকা পরিশোধ করিলে এই সদস্যের ভোটাধিকার রহিত করতে হবে। মানে নিজস্ব কোম্পানির রিনিউয়াল ফি সদস্য নিজস্ব পোর্টাল থেকে নিজ পেমেন্ট করতে হবে।
কোম্পানির নিজস্ব অফিস থাকতে হবে, ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে অফিসে অ্যাড্রেসের মিল থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংশোধনী পত্র থাকতে হবে। লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা পরিচালক পর্যায়ের ছাড়া অন্য কেউ রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে পারবেনা। মানে ভোটার হতে পারবে না।
আমি স্বপ্ন দেখি আগামী দিনগুলোতে ই-ক্যাবের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে, ই-কমার্স এর একমাত্র ট্রেড বডি হিসাবে ই-ক্যাব এই খাতকে প্রতিনিধিত্ব করে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে যেখানে বাংলাদেশের জিডিপিতে ই-কমার্সের কন্ট্রিবিউশন থাকবে।
লেখক: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)- প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব