আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভুমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের শিখিয়েছেন কাজগুলো করতে হবে আইসোলেটেড ওয়েতে নয় বরং হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে, কোলাবোরেশন এবং কো-অর্ডিনেশন মাইন্ডসেট নিয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
আধুনিক প্রযুক্তিগত সেবা দ্রুত বিদেশগামী কর্মীদের দোরগোরায় পৌঁছে দিতে ‘‘আমি প্রবাসী’’ অ্যাপের মাধ্যমে স্মাট কার্ড সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, বায়রা’র সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার। সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, সরকার ব্যবসা করবে না কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাজ করলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি তার মূল তিনটি শক্তি হলো কৃষি, পোষাক এবং প্রবাসী। এই কৃষি, পোশাক এবং প্রবাসী এই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোন ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে ৩ কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তারাও স্মার্ট প্রসেস ব্যবহার করছে। যারা বেশি করে ডেটা প্রডিউস করছে এবং ডেটা এনালাইসিস করতে পারছে তাদের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে তা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, সোনা বা হীরার থেকেও বেশি মুল্যবান হয়ে যাবে। এবং তার বড় প্রমান আজকের ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিস আমি প্রবাসী অ্যাপ। যদি আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশ থেকে জ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভাবনী অর্থনীতির দিকে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হয়, তবে প্রযুক্তিকে আমাদের পোশাক শিল্পে ব্যবহার করতে হবে, প্রবাসী কর্মসংস্থানে ব্যবহার করতে হবে এবং আমাদের কৃষিতেও ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা একটা স্মার্ট ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয় কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে যার একটি উদাহরণ হল বিএমইটি ডাটাবেজ। আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর এনালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে।
বিএমইটির নিয়োগ-প্রক্রিয়াসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজড করার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো অভিবাসন খাতের সেবাদান। বিদেশ গমনেচ্ছুদের সেবা আরও সহজ করার লক্ষ্যে আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। বিদেশগামী কর্মীদের সর্বশেষ ধাপ, বিএমইটির প্রদত্ত বহির্গমন ছাড়পত্র বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স ডিজিটাল পদ্ধতিতেই এখন করা সম্ভব হবে। একজন বিদেশগামী কর্মী স্বল্প সময়ে, কম অর্থ ব্যয়ে এবং কোন ধরণের ভোগান্তি ছাড়া অনলাইনেই ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন এবং বিএমইটি স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়াটি প্রস্তুত করেছে বিএমইটির ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার আমি প্রবাসী লিমিটেড।