আইটিইএস খাতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও আইসিটি খাতে বার্ষিক রফতানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড় হয়েছে। চলমান আইটিইএস খাতে খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল শনিবার (৪ মে) রাজধানীর একটি স্থানীয় কনভেনশন হলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। বাক্কো’র সভাপতি ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. আবুল খায়ের।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, আইসিটি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় আইসিটি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন। আইসিটি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর অব্যাহতি সুবিধা রাখার জন্য অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আবারও অনুরোধ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “বাক্কো’র প্রায় ৪’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাক্কো’র যারা মেম্বার এবং উদ্যোক্তা তারাই নতুন নতুন সেক্টরে সক্ষমতা তৈরি করবে। সারা বিশ্বে ২০০টি দেশ রয়েছে। সে সকল দেশে আমাদের ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শুধু বাংলাদেশকে ধরলে হবে না, সারা বিশ্বটাকে ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে বাক্কো’র প্রতিটি উদ্যোক্তাকে সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন জায়গায় তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”