অনুমোদিত প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে শুরু হলো ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’
ক.বি.ডেস্ক: সর্বশেষ সংস্করণের অত্যাধুনিক এবং নিত্য নতুন অনুমোদিত প্রযুক্তিপণ্যের সমাহার নিয়ে শুরু হলো ‘‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’’। ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে অবস্থিত বিসিএস কমপিউটার সিটিতে ‘টেকনোলজি, হাইওয়ে টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছয় দিনব্যাপী (২-৭ অক্টোবর) এবারের মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। মেলা চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ এ থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে আকর্ষণীয় উপহার, সব দর্শনার্থীদের জন্য মেগা ডিসকাউন্ট, নিশ্চিত উপহার, ক্যাশব্যাক, স্ক্র্যাচ অ্যান্ড উইন, টেক সেলিব্রেটি আড্ডা, অনুমোদিত পণ্যে নিশ্চিত ওয়ারেন্টিসহ সর্বোপরি সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তা। মেলায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন ছাড়াও পার্টিসিপেন্ট স্টল থাকছে।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) বিস্এস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জমকালো ও বর্ণাঢ্য ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলার আহবায়ক মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, সাবেক সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল ব্রান্ড প্রা. লি. এর পরিচালক জসিম উদ্দিন খন্দকার, স্মার্ট টেকনোলজিস বি্ডি লি. এর পরিচালক জাফর আহমেদ, ইউসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারোয়ার মাহমুদ খান, স্মার্ট টেকনোলজিস বি্ডি লি. এর পরিচালক মুজাহিদ আল বেরুনী সুজনসহ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুটি ভিত্তি হলো ডিজিটাল কানেকটিভিটি এবং ডিজিটাল দক্ষতা। এই ডিজিটাল দক্ষতা তৈরিতে কমপিউটার শিল্প অনেক অবদান রেখেছে। কোন কমপিউটার অথবা কোন সফটওয়্যার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এমন বিষয়গুলো এই মার্কেটের মাধ্যমে মানুষ জানতে পেরেছে। এই মেলার মধ্য দিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের একটি মিলনমেলা তৈরি হয়। অন্যদিকে, এই মেলার মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন পণ্য যাচাই-বাছাই করার সুযোগ পায়।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে কাজের সময়, এবং ধরন পরিবর্তন হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে। সেই জন্য আমি মনে করি, আইসিটি মেলাগুলো আয়োজন করা উচিত। আমরা যেন নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন ডিভাইসগুলো এর মধ্য দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি।
ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা এই মেলাটি করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা যে ভূমিকা রেখেছি, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের অনেক শ্রম, আত্মত্যাগ, মেধা, এবং অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকারের এই প্রকল্প এগিয়ে নেয়ার পেছনে আমাদের অবদান অব্যাহত থাকবে।
এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী বলেন,, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড। এ ছাড়া যেকোনো অনুমোদিত পণ্য কিনলেই থাকছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও পুরস্কার। এবারের মেলায় কেনাকাটায় ছাড়ের পাশাপাশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য গেমিং প্রতিযোগিতা, পিসি ব্যাটেল শো, ল্যাপটপ ব্যাটেল শো, এবং ফেসবুক রিল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া জানান, আইডিবির মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। মেট্রোরেল চালুর কারণে এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা অনেক বাড়বে বলে আশা করছি। এবারের সিটি আইটি মেগা ফেয়ারে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন থাকছে। মেলায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন ছাড়াও পার্টিসিপেন্ট স্টল থাকবে।
সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩ এর স্পন্সর- আসুস, ডাহুয়া, ইপসন, এইচপি, হিকভিশন, ইনফিনিক্স, লেনোভো এবং এমএসআই। পার্টিসিপেন্ট ক্যানন, ব্রাদার, পেন্টাম।