আইসিটি ও সেবা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক!
ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি ও এ সংক্রান্ত সেবা খাতে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্প্রাসারিত হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের মধ্যে আইসিটি খাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বর্তমানে বাংলাদেশে আইসিটি খাতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডের কথা উল্লেখ করে বলেন, তুরস্কের আইটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। এক্ষেত্রে তারা তাদের লভ্যাংশের শতভাগ দেশে ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ এখন আইসিটি খাতে ১০ লক্ষের ওপরে দক্ষ জনবল আছে। এই খাতে তুরস্কের বিনিয়োগের ফলে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। বেসিস আইসিটি খাতের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী তুরস্কের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যত ব্যবসা বাড়বে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আইসিটি খাতে তুরস্ক ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাতে সফল ব্যবসায়ী সম্পর্ক গড়ে উঠে এজন্য আমরা কাজ করছি। তুরস্কের বাজারে বাংলাদেশের আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য বেসিসকে আমরা সবধরনের সহযোগিতা করবো।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আইসিটি খাতের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপ আমাদের প্রাথমিক বাজার। তুরস্ক ইউরোপের বাজারে আমাদের ব্যবসা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আইসিটি খাতে ব্যবসা বাড়ানোর অবাধ সুযোগ আছে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা পরস্পর একসঙ্গে কাজ করলে উভয়েই লাভবান হবে। বাংলাদেশে বর্তমান ব্যবসার পরিবেশ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো। বিশেষ করে আইসিটি খাতে সরকারের দেওয়া বিশেষ সুবিধা এই খাতে ব্যবসা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বেসিস থেকে আরও যুক্ত ছিলেন যুগ্ম-সচিব ইনামুল হাফিজ লতিফী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক নাদিয়া তাবাসসুম।