অনার ৫০০ সিরিজে ৮০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ২০০ এমপি ক্যামেরার ঝলক
ক.বি.ডেস্ক: চীনের বাজারে উন্মোচিত হলো অনার ৫০০ সিরিজ স্মার্টফোন। শক্তিশালী ব্যাটারি, হাইরেহ ক্যামেরা ও নতুন প্রজন্মের প্রসেসরের সমন্বয়ে অনার এবার প্রতিযোগিতায় বড় ধাক্কা দিল। সিরিজটিতে রয়েছে দুটি মডেল অনার ৫০০ এবং অনার ৫০০ প্রো। দুটিতেই থাকছে স্ট্যান্ডার্ড ফ্ল্যাগশিপ সুবিধা। উভয় ফোনেই রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, বিশাল ৮০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং সর্বোচ্চ ১৬ জিবি র্যাম।
অনার ৫০০ ফাইভজি
নতুন এই স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে এসেছে- ১২ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ; ১২ জিবি র্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ এবং ১৬ জিবি র্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ ওলেড পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে, যার রেজ্যুলেশন ২৭৩৬×১২৬৪ পিক্সেল। ডিসপ্লেতে আরও রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৬০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস, ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এই ব্রাইটনেস সূর্যের আলোতেও দারুণ ভিজিবিলিটি দিতে সক্ষম।
স্মার্টফোনটির অন্যতম বড় আকর্ষণ এর ক্যামেরা সিস্টেম। পেছনে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ ২০০ এমপি ওআইএস প্রাইমারি ক্যামেরা, ১২ এমপি আলট্রা-ওয়াইড + ম্যাক্রো লেন্স। সেলফির জন্য রয়েছে ৫০ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা, থ্রিডি ডেপ্থ সেন্সর। ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে এ সিরিজটি সহজেই মিড-হাই রেঞ্জে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা দেবে। ৮০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনারের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি যুক্ত মডেলগুলোর একটি। সঙ্গে রয়েছে ৮০ ওয়াট সুপারচার্জ ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। এক চার্জে দীর্ঘ সময় ব্যবহারই এই সিরিজের মূল শক্তি হয়ে উঠবে।
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ ভিত্তিক ম্যাজিক ওএস ১০.০। চিপসেট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৪ (৪এনএম, ৩.২ গিগাহার্টজ ক্লক ক্লক স্পিড), অ্যাডরেনো ৮২৫ জিপিইউ। গেমিং, হেভি মাল্টিটাস্কিং ও গ্রাফিক্স–নির্ভর কাজেও অনায়াসে চলবে। রয়েছে আইপি৬৮+ আইপি৬৯+ আইপি৬৯কে সার্টিফিকেশন। ফলে ফোনটি পানিরোধী, ধুলোরোধী এবং গরম পানি থেকেও সুরক্ষিত থাকবে। ফোনটির ওজন ১৯৮ গ্রাম এবং পুরুত্ব মাত্র ৭.৭৫ মিমি। ফোনটিতে রয়েছে ওয়াইফাই ৭, ব্ল-টুথ ৬.০, এনএফসি, ইনফ্রারেড সেন্সর।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি, ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা সেটআপ, প্রিমিয়াম ডিসপ্লে এবং শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৪ প্রসেসরের সমন্বয়ে অনার ৫০০ সিরিজ সহজেই বর্তমান বাজারে বড় প্রতিযোগী হয়ে ওঠতে পারে। বাংলাদেশের বাজারে কবে আসবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।





