উল্কাসেমি বাংলাদেশকে গ্লোবাল নলেজের কেন্দ্রে নিয়ে গেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাবনার ব্যাপারে সরকার অবগত এবং এই শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্কাসেমি বাংলাদেশকে গ্লোবাল নলেজের কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। উল্কাসেমি উল্কার গতিতে এগুচ্ছে। একাডেমি পেছনে পড়ে রয়েছে। এজন্য আমাদের একটা মাঝামঝি অবস্থানে আসতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গুলশানে উল্কাসেমির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘উল্কাসেমি ভিএলএসআই প্রশিক্ষণকেন্দ্র’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর অঙ্গনে এক ধাপ এগিয়ে নিতে গুলশানে উল্কাসেমির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করলো ‘উল্কাসেমি ভিএলএসআই প্রশিক্ষণকেন্দ্র’। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন প্রতিষ্ঠান উস্কাসেমি, দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের জন্য বিশ্বমানের চিপ ডিজাইন দক্ষতা অর্জনের পথ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই নতুন উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “নলেজ ইজ পাওয়ার উল্কাসেমি বাংলাদেশকে সেই পাওয়ার উপহার দিচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আমরা আমাদের তরুণদের উন্নত জীবন এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ উপহার দিতে পারলেই তা জুলাই বিপ্লবের তাৎপর্যময় বাস্তবায়ন হবে। আমরা ইন্ডাস্ট্রিকে টার্গেট করে সামনে ন্যানো টেকনোলজি, ডেটা সায়েন্স, এআই, ইউএলএসআই একাডেমি কোর্স চালু করবো। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এটি নিয়মিত দেখাশোনা করবে। প্রতি এক বছর পর পর কারিকুলাম রিভিউ করবো।”
উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, “ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিশাল কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখি।”
অনুষ্ঠানে বুয়েট, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মিলিটারি সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর শিক্ষাবিদ ও শিল্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।





