ড্যাফোডিল গ্রুপের সঙ্গে জাপানের টোয়োটা শিন-ওসাকা ইনক এর চুক্তি

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশি যুবকদের জন্য বৈশ্বিক অটোমোবাইল শিল্পে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে জাপানের টোয়োটা শিন-ওসাকা ইনক এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ড্যাফোডিল গ্রুপ। এর ফলে ড্যাফোডিল গ্রুপের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ও অন্যান্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের টোয়োটা অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অব কোবে-তে ভর্তি করানোর জন্য প্রস্তুত ও সুপারিশ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি গাড়ি সংক্রান্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দুই বছরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে।
টোয়োটা শিন-ওসাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে জাপানের অটোমোবাইল শিল্পে চাকরির সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেবে, যা সম্পূর্ণরূপে জাপানের আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ড্যাফোডিল কর্পোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং টয়োটা শিন-ওসাকার প্রেসিডেন্ট ইউকিও কুবো। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, “এই সহযোগিতা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য বিশ্বমানের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও বিশ্বের অন্যতম উন্নত অটোমোবাইল বাজারে দক্ষ চাকরি পাওয়ার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। এটি একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক কর্মশক্তি গঠনে আমাদের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ইউকিও কুবো বলেন, “বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের জাপানের গতিশীল অটোমোবাইল শিল্পে অবদান রাখতে সহায়তা করবে ড্যাফোডিল গ্রুপ। একসঙ্গে আমরা দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে এমন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করব।”
এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্যসমূহ হলো
ভর্তি ও কর্মক্ষেত্রের শর্ত পূরণের জন্য জাপানি ভাষা শিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার, ওরিয়েন্টেশন সেশন এবং শিল্প-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান। প্রশিক্ষণ শেষে টোয়োটা ওসাকা এবং জাপানের অন্যান্য অটোমোবাইল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন এই উদ্যোগ। একই সঙ্গে এটি দেশের বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স আয় বাড়ানোর জাতীয় লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।