সাম্প্রতিক সংবাদ

লাইসেন্স সংখ্যার নাম করে নতুন বিনিয়োগকারীদের বাধা দেয়া যাবে না: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: স্বৈরাচারী সরকারের পলিসিকে বাদ দিয়ে আধুনিক টেলিকম পলিসি করা হবে। এই পলিসির উদ্দেশ্য হলো প্রজন্মগত রূপান্তর এবং আমরা এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। পলিসিতে লাইসেন্সের সংখ্যা কতগুলো হবে তা নির্ভর করবে লাইসেন্স অবলিগেশন অ্যান্ড কেপিআই পারফরমেন্সের ওপর। তবে বিটিআরসি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারে কি পরিমাণ লাইসেন্স লাগবে বা কি পরিমাণ লাইসেন্স থাকলে অপটিমাল হয়। তবে এই লাইসেন্স সংখ্যার নাম করে নতুন বিনিয়োগকারীদের বাধা দেয়া যাবে না।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে টিআর‌এনবি আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং অবকাঠামো’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব: এমদাদ উল বারী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির, আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিশ্বব্যাংক পরামর্শক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটব সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার। সভাপতিত্ব করেন টিআর‌এনবির সভাপতি সমীর কুমার দে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “টোল কালেক্টর হিসেবে যে লাইসেন্সগুলো বিগত সরকারের সময় দেয়া হয়েছিল সেগুলো কন্টিনিউ করা হবেনা। মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়াতে হবে না হলে তারা গ্রাহক হারাবে। আমরা নেটওয়ার্ককে কানিকটিভিটি থেকে সার্ভিস ওরিয়েন্টেড করতে চাই পাশাপাশি লোয়ার ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সি অবমুক্ত করা এবং এক্সিটিং ইকোসিস্টেমকে রিফর্মের জন্য কাজ করছি। নীতিমালাকে সমৃদ্ধ করতে যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে। এক্সপ্রেক্ট্রাম প্রাইজকে রোল‌আউট কষ্ট হিসেবে পলিসিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এতো ডেমোক্রেটিক উপায়ে কোন পলিসি হয়নি। পলিসি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন লাইসেন্স নিয়ে যারা আসবে তারা আর‌ও বেশি শক্তিশালী হয়ে কাজ করবে। লাইসেন্স লিমিটেড হবেনা।”

এমদাদ উল বারী বলেন, “টেলিকম হচ্ছে রিয়েল টাইম সার্ভিস, এটা হুট করে পরিবর্তন করলে সমস্যা হবে তাই স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সাসটেইনেবল পরিবর্তন করা হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের নিচে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। পলিসিতে মাইগ্রেশন প্ল্যান রয়েছে তাই লাইসেন্স বাতিল নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। কোন লাইসেন্স বাদ হচ্ছেনা।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *