জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স’র সুপারিশকে স্বাগত জানালো বিএসআইএ

ক.বি.ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে গঠিত জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স সম্প্রতি (১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশের জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স’-এর চূড়ান্ত সুপারিশপত্র উপস্থাপন করেন। প্রকাশিত সুপারিশমালাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ)।
টাস্কফোর্সের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়ে বিএসআইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপারিশমালায় সরকারি নীতিনির্ধারক, একাডেমিয়া, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দেশের জনশক্তি ও চিপ ডিজাইন এবং টেস্টিং ক্ষেত্রে বিকাশমান সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিএসআইএ কর্তৃক পূর্বে প্রস্তাবিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বিবেচিত ও অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। বিএসআইএ যে সকল প্রস্তাব তুলে ধরে যা সুপারিশমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়…
ল্যাব অবকাঠামো ও বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প খাতের সহযোগিতায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সহায়তা বা মেয়াদি অর্থায়ন প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি সেমিকন্ডাক্টর ফান্ড প্রতিষ্ঠা। প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ বছর মেয়াদে কর অবকাশ সুবিধা এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতের শক্ত অবস্থান তৈরি।
বিএসআইএ বর্ণিত সুপারিশমালায় অন্যান্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতের ন্যায় রপ্তানি আয়-এর ওপর নগদ প্রণোদনা প্রদানের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানায়, এতে স্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠানসমূহের আন্তর্জাতিক ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসআইএ সভাপতি মো. আবদুল জব্বার বলেন, “জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বিএসআই-এর কয়েকজন সদস্য সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সুপারিশমালা প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সঙ্গে মিলিতভাবে একটি প্রাণবন্ত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিএসআইএ বদ্ধপরিকর। আমরা বিশ্বাস করি, এই সুপারিশগুলো যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সেমিকন্ডাক্টর খাতকে একটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক শিল্পখাত হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।”