নারীদের সাইবার নিরাপত্তা প্রদান সরকারের প্রধান দায়িত্ব: আসিফ মাহমুদ

ক.বি.ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব এবং সরকার এ বিষয়ে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে নারীদের সাইবার নিরাপত্তা প্রদান এবং সাইবার সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে আইসিটি বিভাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি অনেক ঝুঁকিও তৈরি করেছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় দেখি নারীরা সাইবার বুলিং, হ্যারাসমেন্ট বা ভায়োলেন্সের শিকার হন। আমাদের সরকার এগুলো শুরু থেকে বিবেচনা নিয়েছে। আমরা চাই দেশের সাইবার স্পেস তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরাপদ থাকুক নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলের জন্য।
গতকাল শনিবার (১৭ মে) ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’ স্লোগানে আয়োজিত ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব( রুটিন দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান অব. মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং টেলিকম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ এ ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং, ইন্টারনেট যেন সর্বস্তরের জনগণ ব্যবহার করতে পারে সেজন্য মূল্য যুক্তিসঙ্গতভাবে কমিয়ে আনতে হবে। আইআইজি পর্যায়ে মূল্য কমিয়েছে সরকার, যার সুফল গ্রাহকরা দুই-এক মাসের মধ্যে পাবেন। এ ছাড়াও শিক্ষা খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু কৃষি-স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার আরও বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বে অন্যতম ভাইব্রেন্ট এবং ইনোভেটিভ খাত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, এই খাতে আমাদের তরুণ এবং নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে অত্যন্ত সফল একটি সেক্টর হচ্ছে আরএমজি সেক্টর। যার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে নারীদের বিপুল অংশগ্রহণ। বর্ধমান সেক্টর হিসেবে আইসিটি সেক্টরেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতা আছে তা চিহ্নিত করে সেভাবেই পলিসি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরএমজি সেক্টরে যেমন নারীরা বিশেষ অবদান রেখে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করেছে, সেভাবে আইসিটি সেক্টরে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানোর বিষয়ে তাগিদ দিতে হবে। জেলা থেকে থানা, ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত জনগণ তাদের মৌলিক সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে যেন কোনও ধরনের দুর্নীতি বা ঘুষ বাণিজ্যের শিকার না হয় এবং সকল কার্যক্রমকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য হিউম্যান টাচ ওঠিয়ে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সকল কার্যক্রম নিয়ে আসবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।”