আসছে ‘নাগরিক সেবা’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

ক.বি.ডেস্ক: দেশজুড়ে নাগরিক সেবা গ্রহণের পদ্ধতিকে সহজ, সুলভ ও যুগোপযোগী করতে চালু হতে যাচ্ছে নতুন এক সেবা আউটলেট ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ সংক্ষেপে ‘নাগরিক সেবা’। ‘এক ঠিকানায় সকল সেবা’ স্লোগানে যাত্রা করতে যাওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকরা একই স্থান থেকে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে আসছে নতুন সেবা আউটলেট ‘নাগরিক সেবা’। যা থাকবে বাংলাদেশের সব শহরে, সব গ্রামে, সব ওয়ার্ডে। আগামীকাল (১ মে) থেকে সেবা আউটলেট পরিচালনার জন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আগ্রহীরা নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে সেবাদাতা হিসেবে কাজ করতে পারবেন।”
‘নাগরিক সেবা’- এর আওতায় জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, বিভিন্ন সরকারি ফর্ম পূরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা একই কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। এতে করে নাগরিকদের সময়, অর্থ ও হয়রানি-সবকিছুরই সাশ্রয় হবে।
সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় ব্যবহার বান্ধব ঘরে বসেই সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সেবা পেতে একটি ভার্চুয়াল গেটওয়ে ‘নাগরিক সেবা’ তৈরি করছে। এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য এটি তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে না গিয়েও বাংলাদেশের সব শহরে, গ্রামে, ওয়ার্ডের নাগরিকরা তার নিজস্ব ডিভাইস ব্যবহার করেই সেবা নিতে পারবেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেবাদাতারাও যুক্ত হতে পারবেন।
সরকারি সেবার ওয়েবসাইটগুলো এই সার্ভিস গেটওয়ের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। অ্যাপ অথবা ওয়েব সব মাধ্যমেই সেবা দেয়া হবে। এমনকি যারা ফিচার ফোন ব্যবহার করেন তারাও যেন ডিজিটাল বৈষম্যহীনভাবে সেবা গ্রহণ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকছে এই গেটওয়েটে। এখানে এমএফস সেবাদাতা থেকে ইন্টারনেট সেবাদাতারাও যুক্ত হবেন।
দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজধানীর মতো স্থানীয় পর্যায়েও নাগরিক সেবা কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিগত সরকারের আমলে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী সিটি ও পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করা হয়। ভেঙে দেয়া হয় জেলা ও উপজেলা পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বেশিরভাগই পলাতক বা কাজে অনুপস্থিত। এ অবস্থায় সারা দেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবা নেই বললেই চলে। ফলে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে নাগরিক সেবা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে স্বয়ংক্রিয় গতি আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।