সাম্প্রতিক সংবাদ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি

ক.বি.ডেস্ক: বর্তমান গ্লোবাল গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র বাজার ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সমন্বিতভাবে মিউজিক ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’র থেকেও বেশি। এশিয়া-প্যাসিফিক (এপিএসি) অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করছে। এই খাতের বিকাশ দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।

গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ফোরাম (বিআইপিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন। সেমিনারে সরকার, শিল্পখাত, একাডেমিয়া ও গেমিং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র বিকাশ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর ভূমিকা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবন প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।

টেনসেন্ট’র এপিএসি অঞ্চলের হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ারস ইয়ে লার লাউ বলেন, “গেমিং কেবল বিনোদন নয়, এটি একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক খাত, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক সংযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের তরুণ, প্রযুক্তি-সচেতন জনগোষ্ঠী ও দ্রুত উন্নয়নশীল ডিজিটাল অবকাঠামো গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের গেমিং ও ডিজিটাল খাতের উন্নয়নে টেনসেন্ট বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যা দেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিআইপিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম হামিদুল মিসবাহ বলেন, “বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। সঠিক নীতি, বিনিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এর সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি। এই সেমিনার টেকসই গেমিং ইকোসিস্টেম তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অর্থনৈতিক বিকাশের পাশাপাশি দেশের তরুণদের গেম ডেভেলপমেন্ট, ই-স্পোর্টস এবং সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন দক্ষতা অর্জন ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ করে দেবে।”

সেমিনারে গেমিং এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় – যার মধ্যে ছিল; বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র বর্তমান অবস্থা, ই-স্পোর্টসের ভূমিকা, সহায়ক নীতিমালার গুরুত্ব এবং প্রযুক্তি ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের গুরুত্ব। সরকার, গেমিং স্টার্টআপ, ই-স্পোর্টস টিম, একাডেমিয়া ও টেলিকম খাতের প্রতিনিধিরা গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *