এআই হতে পারে মানব কল্যাণের বড় হাতিয়ার: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
![](https://computerbichitra.com/wp-content/uploads/2025/02/03.jpg)
ক.বি.ডেস্ক: সৃজনশীলতা এবং নৈতিকতার মিশেলে ব্যবহার করা গেলে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিণত হতে পারে মানব কল্যাণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ারে। কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষ আজকাল একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। শিশু বয়সেই সাক্ষরতার সঙ্গে তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও চিন্তা প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে হবে।
আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস- ২০২৫” আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) ও ইউনেস্কো ঢাকা’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এবারের “আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস”- এর মূল প্রতিপাদ্য- ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।
সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান সুজান ভাইজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিবুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, “উদ্ভাবনী শক্তি ও নৈতিকতা -এই দুইটি মানবিক গুণের বিকাশ ছোটবেলা থেকে একটি শিশুর মধ্যে গড়ে তোলা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই প্রযুক্তির দাসে পরিণত হবে না। বরং মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য তখন সে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তাকে তার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের পথ প্রদর্শকদের এ মানবিক গুণগুলো বিকশিত হওয়ার ওপর জোর দিতে হবে। ভাষা আমাদের চিন্তার বাহন। ভাষার মাধ্যমে যেহেতু সকল চিন্তা ভাবনাকে আমরা প্রকাশ করি, চিন্তাকে উৎকর্ষত করতে হলে মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
আমিনুল ইসলাম বলেন, “ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষা ও পলিটেকনিক শিক্ষার ফলাফলের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এটি শিক্ষার্থী ও দেশ উভয়ের জন্য অসাধারণ হবে। আর শিক্ষার সঙ্গে দক্ষতা বৃদ্ধির এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মৌলিক, ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে গবেষণামূলক শিক্ষা প্রবর্তনের পাশাপাশি প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষার শক্ত একটি ভিত্তি গড়ে তুলতে শিশুদের মাঝে গণিত ও বিজ্ঞানের চর্চার ওপর জোর দিতে হবে।”