গ্রামীণফোনের মুনাফা বেড়েছে ১৫ শতাংশ
ক.বি.ডেস্ক: ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মোট ৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.২ শতাংশ কম। মূলত চ্যালেঞ্জিং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কোম্পানির আয়ে। চতুর্থ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৩ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৬.৯ শতাংশ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে যা ব্যবসার বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি সাময়িক অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি শক্তিশালী অবস্থানের প্রতি আমাদের দৃঢ় আস্থার বহিঃপ্রকাশ।”
তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণফোনের কৌশলগত পরিকল্পনায় প্রাধান্য পাচ্ছে সাস্টেইনিবিলিটি, উদ্ভাবন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সরবরাহ ব্যবস্থাপানার সব পর্যায়ে আমরা সাস্টেইনিবিলিটির দিকে নজর দিচ্ছি যাতে সার্বিক মান নিশ্চিত হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের সাপ্লাইয়েরদেরকে প্রদানকৃত অর্থের ৭৭.৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে সেইসব কোম্পানিতে যারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সংকল্পবদ্ধ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।”
গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার অটো রিসব্যাক বলেন, “দক্ষ পরিচালন ব্যবস্থা এবং সঠিকভাবে মূলধন বরাদ্দের ফলে ২০২৪ সালে আমাদের ইবিআইটিডিএ’র পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯,৬২৩ কোটি টাকায় এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিনের পরিমাণ ৬০ শতাংশের বেশি। মূলত গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের এককালীন প্রভাবের কারণে কর পরবর্তী মোট মুনাফার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১৭ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে বোর্ড। এর ফলে ২০২৪ সালে প্রদেয় মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ালো ৪,৪৫৫ কোটি টাকা যা কর পরবর্তী মোট মুনাফার ১২২.৭৩ শতাংশ।”