সাম্প্রতিক সংবাদ

সরকার ই-বর্জ্য বিধিমালা-২০২১ বাস্তবায়ন করবে: রিজওয়ানা হাসান

ক.বি.ডেস্ক: সরকার ই-বর্জ্য বিধিমালা-২০২১ বাস্তবায়ন করবে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব পক্ষকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান করার আহ্বান জানান তিনি। ই-বর্জ্য কমানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে এবং রিসাইক্লিং শিল্পকে নিয়মিত ও উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত “ফরমাল ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সব কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েট’র রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ডব্লিউইইই সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “দেশব্যাপী একটি ব্যাপক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকার, বেসরকারি খাত ও সাধারণ নাগরিকদের একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে কাজ করা উচিত। অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিকর বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। নির্মাতাদের টেকসই ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। শুধুমাত্র সাময়িক ট্রেনডিং-এর কারণে ইলেকট্রনিক পণ্য কম সময়ের মধ্যে বাতিল না করার জন্য ভোক্তাদের প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।”

সেমিনারে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং শিল্প নেতৃবৃন্দ ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা অনানুষ্ঠানিক রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া, যেমন উন্মুক্ত স্থানে পোড়ানোর মাধ্যমে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে সৃষ্ট দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *