দ্বিতীয় প্রান্তিকেও চলমান প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে গ্রামীণফোন
ক.বি.ডেস্ক: ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৪,২২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬ শতাংশ বেশি। নতুন ২৩ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৩ লাখে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৮.৩ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৯৭ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “আমরা প্রবৃদ্ধির কৌশলে মনোযোগী ছিলাম এবং টপলাইন ও ইবিআইটিডিএ-এর ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ব্যবসায় স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছি। এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমরা বিভিন্ন স্মার্ট ও অভিযোজিত কৌশল অবলম্বন করেছি। এআই-চালিত ডায়নামিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন সিস্টেম স্থাপন, যা রিয়েল টাইম মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রদান করছে। গ্রামীণফোনে আমরা গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শীর্ষ টেলিকম অপারেটর হিসেবে আমাদের ওপর অর্পিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্বের প্রতি সংবেদনশীল।”
গ্রামীণফোনের সিএফও অটো রিসব্যাক বলেন, “বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও সকল ক্ষেত্রে ও বিভাগগুলোতে আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছি। দ্বিতীয় প্রান্তিকেও এআরপিইউ ও গ্রাহক উভয় দিকেই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ইতিবাচক। দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রেভিনিউ ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিলো ৫.২ শতাংশ। দক্ষতা ও অটোমেশনের ওপর ভিত্তি করে আমরা খরচের চাপ কমিয়েছি এবং ৬০.৪% এর একটি শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এবং শক্তিশালী ব্যালেন্স শীটের ফলশ্রুতিতে বোর্ড এই প্রান্তিকের জন্য শেয়ার প্রতি ১৬ টাকার অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে।”