ডিআইইউ’তে এআই প্রয়োগের সফলতা উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’তে (ডিআইইউ) কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রয়োগের সফলতা উদযাপন করা হয়। বর্তমান সময়ের সর্বাধিক আলোচিত এআই প্রয়োগে ডিআইইউ’র সফলতার চিত্র তুলে ধরা হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকেই এআই’র প্রয়োগে এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ডিআইইউ অগ্রগামীদের মধ্যে অন্যতম। এআই ব্যবহার করে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রনয়ন করা হয়েছে মাস্টার্স ইন এআই’র ওপর মাস্টার্স প্রোগ্রাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিআইইউ’তে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রয়োগের সফলতা উদযাপন ২০২৩ উপলক্ষ্যে রাজধানীর সোবহানবাগস্থ ড্যাফোডিল টাওয়ারের ৭১ মিলনায়তনে একটি ‘সংবাদ সম্মেলন’ এর আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। বক্তব্য রাখেন ডিআইইউ’র বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. মাসুম ইকবাল, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তি আবীর। সভাপতিত্ব করেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক সরওয়ার হোসাইন মোল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালে প্যানডেমিকের আগে ডিআইইউ’র ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের প্রচেষ্টায় বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যক্রমে মেশিনলার্নিং, ডাটা মাইনিং এবং ডাটা সাইন্স সংযোজন করা হয় এবং শেনীকক্ষে শিক্ষকমন্ডলীরা সফলভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে সেই প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটান। ডিআইইউ জন্মলগ্ন থেকেই সর্বাধূনিক প্রযুক্তি ও প্রয়োগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রনয়ন করা হয়েছে মাস্টার্স ইন এআই’র ওপর মাস্টার্স প্রোগ্রাম।
কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই প্রোগ্রামটি আগামী বছর চালু হবে। একইসঙ্গে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরিচালিত আন্ডারপ্রেগ প্রোগ্রামগুলোতে এআই বিষয়ক প্রযুক্তির ব্যবহার সংযোজিত হয়েছে। ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের সকল বিভাগের কার্যক্রমে এআই প্রয়োগের তৃতীয় বছর উদযাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানাননো হয়, এআই’র আরেকটি উচ্চস্তর বিষয় হলো জেনেরেটিভ এআই। এটি এমন এক ধরনের এআই যা কথোপকথন, গল্প, চিত্র, ভিডিও, সংগীতের কনটেন্ট এবং আইডিয়া তৈরি করতে পারে। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনষুদের বিভিন্ন বিভাগে- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল, কম্পিউটিং ইনফরমেশন সিস্টেম, মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এর সকল শিক্ষা কার্যক্রমে এআই ২০২১ সালে সংযোজিত হয় এবং ২০২৩ এর শুরুর দিকে জেনেরেটিভ এআই’কে প্রাধান্য দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়।
ডিআইইউ’তে এআই প্রয়োগের সফল প্রকল্পের মধ্যে একটি অনন্য প্রকল্প “মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম”। সিআইএস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রদের তৈরি করা এই প্ল্যাাটফর্ম বাংলাদেশের প্রথমবারের মত সফল এআই প্রয়োগের উৎকৃষ্ট উদাহরন। সিআইএস এর পাশাপাশি অন্য বিভাগগুলোতেও এআই প্রয়োগের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা ও উন্নয়ন অনদুান দেয়া হয়। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে চাকরির উপযোগী করার জন্য ইতিমধ্যে এ আই টুলস ব্যবহার হচ্ছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশটি এবং সিএসই বিভাগের সাতটি এআই প্রজেক্ট শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানানো হয়।