২৯-৩০ সেপ্টেম্বর “স্পেস রোবোটিক্স ক্যাম্প”
ক.বি.ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় রোবটের ভুমিকা অপরিহার্য। মহাকাশ নিয়ে প্রতিটি গবেষণায় জড়িয়ে আছে রোবটিক্সের কার্যক্রম। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে শুরু করে চন্দ্র অভিযান এবং মার্স মিশন প্রতিটি জায়গায় রোবটকে কাজে লাগাতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর যৌথ আয়োজনে আগামী ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে ৪-১৬ বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ “স্পেস রোবোটিক্স ক্যাম্প”।
আয়োজনটিতে মহাকাশ গবেষনায় স্পেস রোবট যে কার্যক্রমগুলো করে যেমন ড্রাগিং, ডাটা কালেকশন, স্যাম্পল কালেকশন, ইমেজ প্রসেসিং ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে প্রায় ১০ ধরনের রোবট বাচ্চারা হাতে কলমে শিখবে এবং তারা নিজেদের রোবট নিজেরাই বানাবে এ ছাড়াও থাকছে স্পেস রোবট প্রোগ্রামিং, এস্ট্রোনট ট্রেইনিং, গ্রাভিটি এক্সপেরিয়েন্স ইত্যাদি। স্পেস রোবোটিক্স ক্যাম্পে অংশগ্রহন এর জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এই ঠিকানায় https://spacecampbd.com/spaceroboticscamp/
আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, আমাদের এই ক্যাম্পে বাচ্চাদের মূলত স্পেস রোবটিক্সের বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটি এবং সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত রোবটগুলো কী ধরনের কার্যক্রম প্লানেটে গিয়ে করছে, বিশেষ করে মঙ্গলগ্রহে কী কী করছে তা দেখানো হবে। এভাবে তারা শিখবে টিমওয়ার্ক এবং কীভাবে একটা প্রবলেম সলভ করা যায়। আমরা মনে করি আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার কান্ডারি।
সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত রোবট পার্সিভারেন্স, যা এই মুহূর্তে মঙ্গলগ্রহে অবস্থান করছে। এই পার্সিভারেন্স রোবটসহ বিভিন্ন রোবট প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্লানেটের বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়মিত পাঠিয়ে মহাকাশ গবেষণায় সহায়তা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই রোবোটিক্সের ব্যবহার আরও বাড়বে। রোবোটিক্সের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে সায়েন্স, টেকনলোজি, ম্যাথমেটিক্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন অংশ।
আয়োজনটিতে ভেন্যু পার্টনার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এবং নলেজ পার্টনার ক্রিয়েটিভ জুনিয়র।