উদ্যোগ

অবসর সুবিধা পেতে ভোগান্তি কমাবে ৩৩৩

ক.বি.ডেস্ক: অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক সুবিধাসমূহের সেবা সহজ ও দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয় করে কাজ করবে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। এর ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ খুব সহজে তাদের আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমাতে একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই পরিচালিত জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।

সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া এবং বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’র সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহম্মেদ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’র প্রোগ্রামার জামাল হোসেন, আইসিটি কনসালটেন্ট এম এম এলাহী, ডেভেলোপার গোলাম সরওয়ার, এটুআই’র কনসালটেন্ট আল-ইমরান রুহুল ইসলাম, টেস্টিং ইঞ্জিনিয়ার দিদার-ই-কিবরিয়া।

৩৩৩ নম্বরে নিয়োজিত এজেন্টগণের মাধ্যমে আবেদনকারীরা তাদের আবেদন করার পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে পারবেন, তাদের পূর্বের আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন এবং আবেদন করার সময় ও পরে কোনো জটিলতার সম্মুখীন হলে তার সহজ সমাধান পেতে পারবেন।

মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, কোনও প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবসর সুবিধাদি পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মকর্তা অবসর সুবিধা বোর্ড একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতে করে যেমন এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সেবা প্রাপ্তি আরও বেগবান হবে, তেমনি সেবাসমূহের মান দাপ্তরিক পর্যায়ে আরও বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অধ্যক্ষ শরীফ আহম্মেদ সাদী বলেন, অবসর সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে ভোগান্তি রয়েছে তা কমানোর ক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে অবসর সুবিধা সেবার পদ্ধতিও আরও বেগবান হবে। এখন আর গ্রাম থেকে শিক্ষক বা কর্মচারিদের ঢাকায় এসে অবস্থা জানতে হবে না, তারা এই জাতীয় হেল্পলাইনে কল করার মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই বিনা মূল্যে তার আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন। এতে করে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দুর্ভোগ অনেকখানি লাঘব হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *