২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি!
ক.বি.ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে ৩,৬৩৩.৫২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তুলনায় ৪.৪ শতাংশ বেশি। প্রথম তিন মাসে ৫ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, ফলে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৩.২ শতাংশ বা ৪.৪৬ কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৬.৮ শতাংশ বেশি।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গত ২৬ মার্চ গ্রামীণফোন বাংলাদেশ এর পথচলার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। গত মার্চে নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেশের সর্ববৃহত তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করে, যেখানে গ্রামীণফোন অংশ নিয়ে ২.৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে সর্বোচ্চ বরাদ্দকৃত ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ক্রয় করে। দেশে প্রথমবারের মতো ই-সিম উন্মোচন করে গ্রামীণফোন। এর ফলে গ্রাহকরা তাদের হ্যান্ডসেটে প্রচলিত সিম কার্ড ছাড়াই ই-সিমের মাধ্যমে মোবাইল কানেক্টিভিটি সুবিধা পাবেন। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে চলমান মডার্নাইজেশন ও ট্রান্সফরমেশনের ফল দেখতে পাচ্ছি, যা আমাদের দক্ষতা, সক্ষমতা, ট্যুলস ও পার্টনারশিপ এর সমন্বয়ে একটি ভবিষ্যত উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে এবং সামনের দিনগুলোতে আমাদের প্রবৃদ্ধির জন্য চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, ইবিআইটিডিএর ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ২০২২ সালে প্রথম তিন মাসে সামগ্রিক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট রাজস্বে বছরপ্রতি ৪.৪ শতাংশ সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে এ প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৬৩৩.৫২ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্ব বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ। বছরপ্রতি ডেটা রাজস্ব বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ ও ডেটা ব্যবহার বেড়েছে ৭৬.৮ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে ইবিআইটিডিএ গত বছরের একই সময় থেকে ১.৭ শতাংশ বেড়েছে এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন দাঁড়িয়েছে ৬১.১ শতাংশ। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে নিট মুনাফা মার্জিন দাঁড়িয়েছে ২২.৩ শতাংশ।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৯১.৯৪ কোটি টাকা নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও বিস্তৃতিতে বিনিয়োগ করেছে। এ প্রান্তিক শেষে গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৮,৭২৪। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ২,৩০০ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে, যা এর মোট রাজস্বের ৬৩.৩ শতাংশ।