সাম্প্রতিক সংবাদ

হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’-এর নিবন্ধন শুরু

ক.বি.ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হুয়াওয়ে আবারও শুরু করেছে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। স্নাতক পর্যায়ের ৩য় বা ৪র্থ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আবেদনকারীদের শেষ সেমিস্টার অক্টোবর ২০২৫-এর পর শুরু হতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের সিজিপিএ ন্যূনতম ৩.৩০ হতে হবে।

হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য আগ্রহীদেরকে নিজেদের সাম্প্রতিক একটি ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত sftfbd@huawei.com ঠিকানায় ইমেইল করতে হবে। জীবন বৃত্তান্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সিজিপিএ, সহশিক্ষা কার্যক্রম, টেলিকমিউনিকেশন ও প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ ও এর কারণ এবং খণ্ডকালীন কাজের অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) উল্লেখ করতে হবে। বিস্তারিত: www.huawei.com/minisite/seeds-for-the-future/index.html

জীবন বৃত্তান্ত যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা অনলাইন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীদের জন্য হুয়াওয়ে ২০ ঘণ্টার একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পাওয়ারসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রশিক্ষণ শেষে একটি চার দিনব্যাপী বুট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে, যাতে ব্যবসা, প্রযুক্তিনির্ভর ধারণা এবং দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। বুট ক্যাম্প শেষে অংশগ্রহণকারীদের একটি প্রকল্প জমা দিতে হবে এবং সেটি উপস্থাপন করতে হবে। এসব মূল্যায়নের পরে বাংলাদেশ থেকে ৮ জন বিজয়ী নির্বাচিত হবে যারা হুয়াওয়ের চীনের প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও টেকফরগুড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ পর্বের চ্যাম্পিয়ন পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক; প্রথম রানার-আপ পাবে হুয়াওয়ে প্যাড এবং দ্বিতীয় রানার-আপ পাবে হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ।

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও উ জি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এআই, ক্লাউড এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। এসব বিষয়ের জন্য আমরা একটি বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান চালু করব। হুয়াওয়েকে এআই এবং ডিজিটাল ও কমপিউটার প্রযুক্তির ল্যাবের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য স্বাগত জানাতে চাই, যাতে দেশের তরুণরা সুযোগ পেতে পারে।”

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত অংশীদার। তারা এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ১৮,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে এবং ৫০০-টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।”

লি শাওপেং বলেন, “হুয়াওয়ে টানা ১১ বছর ধরে এই কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। এর মাধ্যমে ১২০ জনেরও বেশি বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারী চীনে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে। তাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশের আইসিটি খাতে শীর্ষ পর্যায়ে আছে এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ হুয়াওয়ে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে তারা চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।”

উ জি বলেন, “অনেক বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও স্থানীয় সম্ভাবনার মধ্যে এক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং আধুনিক আইসিটি সম্পর্কে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পেয়েছে। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে, দক্ষ করে গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে আমরা এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি যাতে তারা দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির নেতৃত্ব দিতে পারে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *