স্যাটেলাইট ইও শক্তিতে জুটি বাঁধল বিএসসিএল ও থ্যালেস
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং থ্যালেস এলেনিয়া স্পেস দেশে আর্থ অবজারভেশন (ইও) প্রযুক্তি ও স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহারের সক্ষমতা উন্নয়নে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে দুই প্রতিষ্ঠান দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং জাতীয় অগ্রাধিকার খাত যেমন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও নগর পরিকল্পনা এগুলোর জন্য ইও ডেটার পাইলট ব্যবহার নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং বাংলাদেশে ইতালির রাষ্ট্রদূত অন্তোনিও আলেস্সান্দ্রো। এ সময় উপস্থিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আব্দুন নাসের খান, বিএসসিএল–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু ও বিশ্বস্ত অংশীদার। ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, জলবায়ু সহনশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তার উন্নয়নে বাংলাদেশ উন্নত প্রযুক্তি বিশেষত স্যাটেলাইট ও স্পেসভিত্তিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার প্রযুক্তি–স্নাতক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “সব মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি ন্যাশনাল স্যাটেলাইট ইমেজ রিপোজিটরি ও সমন্বিত ডেটা অ্যাক্সেস প্ল্যাটফর্ম তৈরি জরুরি। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, ইনস্টিটিউশনাল ট্রেনিং, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের সহযোগিতা এবং সাইবার নিরাপত্তায় থ্যালেসের সঙ্গে আরও বিস্তৃত অংশীদারত্বের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশ্বের সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা গ্রহণ করলে বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের গতি আরও বাড়াতে পারবে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে উদীয়মান প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”
অন্তোনিও আলেস্সান্দ্রো বলেন, “আর্থ অবজারভেশন ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে এই অংশীদারত্ব বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত পর্যবেক্ষণের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রোগ্রামে অপটিক্যাল ও রাডার উভয় ধরনের পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি একত্রে ব্যবহৃত হবে, যা বাংলাদেশের আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে উপযোগী। এটি উন্নত প্রযুক্তিতে ইতালি–বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সূচনা। বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন, আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে ইতালি বাংলাদেশের প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গঠনের যাত্রায় পাশে থাকতে প্রস্তুত।”





