স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ যেকোন বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে গ্রামীফোনের মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। আমরা সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশে বর্তর্মানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে ৫ হাজার দুইশত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। ন্যুনতম ২০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাই এর। আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা। জনগণের উন্নয়নে প্রচেষ্টা থাকলে অপারেটরদের হাত বেধে পানিতে ফেলে দেয়া হবে না। তাদের নৌকায় উঠিয়ে পাল তুলে দেবো।”