স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়
ক.বি.ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব গ্রহণের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব প্রদান করেন অংশীজনরা। আমাদের দেশ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এগুলো মোকাবেলা করেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে। এর কারণে অনেক বড় বড় কাজের ক্ষেত্রে পেমেন্ট একটি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এটুআই এবং আইসিটি বিভাগ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। আইসিটি সচিব সামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, টিএমজিবি সভাপতি মো. কাউছার উদ্দীন, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহারসহ আইসিটি বিভাগ, এটুআই, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবার স্মার্ট বাংলাদেশের নতুন স্বপ্ন দেখছি। ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ। সরকারের পাশাপাশি অংশীজনদের বিশ্বাস করতে হবে যে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব। স্মার্ট বাংলাদেশের আওতায় কেউ বাদ যাবে না। মাদ্রাসার ছাত্র হোক বা সুদূর পাহাড়ে থাকা কেউই পিছিয়ে থাকবে না। সকলের নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশের ডিজিটাল দক্ষতা, ৬০ শতাংশের ওপর স্মার্ট ডিভাইস ও ৩০ শতাংশের ওপর সেবা গ্রহণে স্মার্ট আইডির বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে এগ্রোটেক, ফিনটেক, হেলথটেক, স্মার্ট গ্রিড, এডুটেক প্রাধান্য পাবে। সেক্টর-ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত নির্ভর ডিজিটাল সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি এটিকে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে বহির্বিশ্বের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে তরুণদের আরও সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিকরা বোঝা হবে না, হবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।’’