সাম্প্রতিক সংবাদ

স্টার্টআপ বাংলাদেশ উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ খাত শক্তিশালী করতে রোডম্যাপ প্রকাশ

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিভাগ একটি উচ্চপর্যায়ের অংশীজন সভার আয়োজন করে, যেখানে ‘স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এনাবলার্স রিপোর্ট ও রোডম্যাপ’ উপস্থাপন করা হয়। এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে, নবপ্রকাশিত এই রোডম্যাপে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দুইটি বিষয়ে: স্টার্টআপের সংখ্যা বাড়ানো এবং তাদের স্কেল আপ ও সাফল্যের সক্ষমতা বৃদ্ধি। বৈশ্বিক সেরা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা এই কৌশলটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাতটি এনাবলার যা একটি গতিশীল, উদ্ভাবন-সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলবে এবং বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে। প্রতিবেদনে চিহ্নিত সাতটি মূল এনাবলার: অ্যাক্সিলারেটর/ইনকিউবেটর, চ্যালেঞ্জ ফান্ড, স্থানীয় এলপি সম্পৃক্ততা, ফান্ড ম্যানেজার প্রশিক্ষণ, ন্যাশন ব্র্যান্ডিং, নীতিনির্ধারণী সহায়তা এবং স্টার্টআপ সামিট।

আজ শনিবার (২৪ মে) আইসিটি বিভাগে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন আইসিটি সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শীষ হায়দার চৌধুরী। সভায় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা অংশ নেন এবং বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সক্ষমতা উন্মোচনে করণীয় কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “এই রোডম্যাপ কেবল একটি কৌশলগত দলিল নয়- এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি, একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার। সরকার, বিনিয়োগকারী, এনাবলার, একাডেমিয়া কর্পোরেট এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বিত প্রচেষ্টাই আমাদের এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে।”

প্রতিবেদনটি আশাব্যঞ্জক প্রাথমিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরলেও, ইকোসিস্টেমে বিদ্যমান ফাঁকফোকর এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার তাগিদও স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রোডম্যাপটি একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে যা বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক ভালো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে। এর বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও আইসিটি বিভাগ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *