স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি মেলা ‘ভিভাটেক-২০২৪’-এ অংশগ্রহণ করল বাক্কো
ক.বি.ডেস্ক: ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি মেলা ‘ভিভাটেক-২০২৪’ এ প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ থেকে ১২টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে, যারা সকলেই বর্তমান সময়ের বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী এবং ১০ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এবারের ভিভাটেক-২০২৪।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) অনুষ্ঠিত ‘ভিভাটেক-২০২৪’ এ আইসিটি বিভাগের ইডিজিই প্রকল্পের উদ্যোগে প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। সরেজমিনে মেলা প্রদর্শন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো’র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন সহ বেশ কয়েকটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমরা আমাদের স্টার্টআপগুলোকে বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ছিল না। তবে বর্তমানে আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে আমরা উৎসাহিত করছি। এ ছাড়া স্টার্টআপ ক্যাম্পেইন, এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্টআপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।”
ওয়াহিদ শরীফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অসংখ্য কাজ করে চলেছে বাক্কো। এই স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি মেলায় বাক্কো’র অংশগ্রহণ উন্নত বিশ্বের নানান দেশের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে। যার ফলে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হবে জোরদার, বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিসর, এমনটাই আশা রাখি আমরা।“
তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের আইসিটি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আমাদের যে পরিমাণ মেধাসম্পদ রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা অচিরেই একটি টেকসই শিল্পখাত গড়ে তুলে নিজেদের দেশের অবস্থান তুলে ধরতে পারবো বৈশ্বিক মানচিত্রে। ভিভাটেক -এর মতো প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণের ফলে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে নিজেদের অবস্থান তুলনার মাধ্যমে আমরা আমাদের এ শিল্পখাতের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ ও সামগ্রিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবো। আকাশ ছোঁয়ার মতো এক লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চললেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের সাবলীল পদচারণার মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রতিষ্ঠার দ্বারা সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথও আমরাই তৈরি করে নিবো বলেই আমার বিশ্বাস।“